সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে সাপ্তাহিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য। তবে তা সত্ত্বেও অদৃশ্য ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই যেন ক্রমাগতই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা গ্রাফ। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমিত এবং মৃতের সংখ্যা। তবে রাজ্যে সুস্থতার হারই যেন কঠিন সময়ে আমজনতাকে অক্সিজেন জোগাচ্ছে। কিন্তু সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর একজন আক্রান্তকে কোন কোন নিয়ম মেনে হাসপাতাল কিংবা সেফ হোম থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে, তারই নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্যভবন।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ধরুন কোনও ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসল। তারপর ৭ দিন কেটে যাওয়ার পরেও আরও তিনদিন ওই করোনা রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তাঁর জ্বর বা অন্য কোনও উপসর্গ রয়েছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি জ্বর বা অন্য কোনও উপসর্গ না থাকে, তবে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই হাসপাতাল বা সেফ হোম থেকে তাঁকে ছুটি দিয়ে দেবেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও ওই রোগীকে দেওয়া হবে সুস্থতার সার্টিফিকেট। যাতে কোনও সমস্যার মুখোমুখি তাঁকে পড়তে না হয়। তবে সুস্থতার সার্টিফিকেট নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পরই সকলের সঙ্গে মিশতে পারবেন না তিনি। কারণ, এরপর আগামী সাতদিন অবশ্যই তাঁকে থাকতে হবে হোম আইসোলেশনে। নতুন করে কোনও উপসর্গ দেখা না দিলে এক সপ্তাহ পর তিনি ফিরতে পারবেন স্বাভাবিক জীবনে। শনিবার এই মর্মে স্বাস্থ্যভবন থেকে সর্বত্র নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তবে সুস্থ হয়ে ওঠার পর সত্যিই কী স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন করোনা আক্রান্তরা? রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শোনা যাচ্ছে একই অভিযোগ। আতঙ্কের জেরে অনেকেই অজান্তে করোনা রোগীকে করে দিচ্ছেন কার্যত ‘একঘরে’। তার ফলে রীতিমতো সামাজিক হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। কোনও করোনা রোগীর সঙ্গে ‘দুর্ব্যবাহার’ না করার কথা রাজ্য সরকারের তরফে বারবার প্রচার করা হচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও করোনা রোগীকে হেনস্তা রোখা যাচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.