অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: স্কুল ভবনের দোতলা থেকে পড়ে গুরুতর জখম এক ছাত্রী। বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাকে। জানা গিয়েছে, ছাত্রীটির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। কোমায় রয়েছে সে। ক্লাস চলাকালীন কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বালির বঙ্গ শিশু বালিকা বিদ্যালয়ে। স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা।
হাওড়ার বালির বঙ্গ শিশু বালিকা বিদ্যালয়টি বেশ পুরনো। এই স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পর্যন্ত পঠনপাঠন চলে। ছাত্রী সংখ্যাও নেহাত কম নয়। দশম শ্রেণির ছাত্রী পূজা ঘোষ। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্লাস চলাকালীন স্কুলবাড়ির দোতলার বারান্দা থেকে নিচে পড়ে যায় সে। রক্তাক্ত অবস্থায় পূজাকে নিচে থাকতে দেখেন স্কুলের অন্য পড়ুয়ার। তারাই বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আনে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বালির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। জানা গিয়েছে, পূজার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। কোমায় রয়েছে সে।
[স্কুলে বেলাগাম ফি-বৃদ্ধির অভিযোগ, এজেসি বোস রোড অবরোধ অভিভাবকদের]
বালির বঙ্গ শিশু বালিকা বিদ্যালয়ের ভবনটি তিনতলা। দশম শ্রেণির ক্লাসরুম দোতলায়। তিনতলার ছাদটিও ঘেরা। তাহলে ক্লাস চলাকালীন কীভাবে দোতলার বারান্দা থেকে পড়ে গেল পুজা? স্কুলের শিক্ষিকা-শিক্ষিকা বা অন্য কেউ কিছু টের পেলেন না কেন? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালি থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পূজা চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে। পড়াশোনায় খুব একটা মনোযোগী নয় সে। সম্প্রতি পূজা ঘোষের অভিভাবককে স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেই আতঙ্কে পূজা আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী।
[চেকিংয়ের আতঙ্কে ব্যাগ ফেলে দৌড় যাত্রীর, হাওড়া স্টেশনে বোমাতঙ্ক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.