শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ভিক্ষুকের মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে চক্ষুচড়কগাছ! দেহের পাশে রাখা ট্রাঙ্ক থেকে উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ইসলামপুরে। দেহ উদ্ধারের পরিবর্তে টাকা গুনতেই ব্যস্ত স্থানীয়রা!
জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinjpur) ইসলামপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কনিকা মোহান্ত। ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনওরকমে দিন গুজরান হত তাঁর। ত্রিপল ও বাঁশ দিয়ে তৈরি ঘরে থাকতেন। সঙ্গে থাকতেন মা ও দুই বোন। দিন পাঁচেক আগে মৃত্যু হয়েছে কনিকার। মহিলার অসুস্থ মা ও বোনেরা তা বুঝতে পারেননি। মঙ্গলবার সকালে এলাকার এক বাসিন্দা কনিকাদেবীর বাড়িতে গিয়ে বুঝতে পারেন মহিলার মৃত্যু হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে জড়ো হন স্থানীয়রা।
সেই সময় কনিকাদেবীর দেহের পাশে থাকা কয়েকটি ট্রাঙ্কে নজর পড়ে স্থানীয়দের। সেগুলি খুলতেই চক্ষুচড়কগাছ প্রতিবেশীদের। মেলে প্রচুর টাকা। একশো থেকে পাঁচশো টাকার নোট। ছিল দশ, কুড়ি পঞ্চাশ টাকাও। এছাড়া খুচরো পয়সা ছিল প্রচুর। দেহ উদ্ধার ভুলে রীতিমতো টাকা গুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, ভিক্ষুক ওই মহিলার ট্রাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে লক্ষাধিক টাকা।
বোনের মৃত্যুর পর এদিন বাড়িতে যান দাদা বাবলু মোহান্ত। তিনি জানিয়েছেন, বোনের জমানো টাকায় মায়ের চিকিৎসা করা হবে। যতটা সম্ভব বাড়ি মেরামতি করা হবে। কিন্তু এতদিন কোথায় ছিলেন দাদা? বোনের মৃত্যুর এতদিন পর কেন বাড়িতে তিনি? বাবলুর কথায়, শ্রমিকের কাজ করে সংসার চলে তাঁর। এদিকে শাশুড়ির মৃত্যু হওয়ায় কলকাতায় যেতে হয়েছিল তাঁকে। ফলত, বোনের মৃ্ত্যুর খবর পাননি তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.