সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রবিবার জঙ্গলমহলে পালিত হল হুল দিবস। এদিন জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের মন পেতে সাঁওতালি ভাষায় হুল দিবসের ইতিহাস তুলে ধরলেন জেলাশাসক ও রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়ক। সঠিক উচ্চারণ ও পর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে সকলের সামনে হুল দিবসের ইতিহাস তুলে ধরেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, আগামী দু’দিন হুল দিবস উপলক্ষে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে পুরুলিয়ায়।
এবছর পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ও বলরামপুরে পালিত হচ্ছে হুল দিবস। রবিবার বান্দোয়ান ব্লক ময়দানে ধামসা বাজিয়ে উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যের শ্রম ও আইন বিচার বিভাগের মন্ত্রী মলয় ঘটক। অন্যদিকে, বলরামপুরের কৃষক বাজারে হুল দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। সেখানে ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সভাধিপতি প্রতিমা সরেন।
জেলাশাসকের মতোই সাঁওতাল-বাংলা মিশিয়ে এদিন হুল বিদ্রোহের কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু ও বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীব লোচন সোরেন। পাশপাশি, বিজেপিকে আক্রমণ করে তাঁরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে আদিবাসী মানুষজনের আর্থ-সামাজিক অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। সেইসঙ্গে আদিবাসী সংস্কৃতিরও প্রসার ঘটেছে। কেন্দু পাতার দাম বাড়ানো হয়েছে। সংরক্ষন করা হয়েছে জাহের থান। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল আদিবাসীদেরকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। জমি কেড়ে নিতে চাইছে। সংরক্ষন তুলে দিতে চাইছে।” জানা গিয়েছে, আগামী ২ দিন হুল দিবসের অনুষ্ঠান চলবে বান্দোয়ান ও বলরামপুরে। হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। সোমবার বান্দোয়ানে আয়োজন করা হয়েছে তিরন্দাজ প্রতিযোগিতার। সব মিলিয়ে হুল দিবসে মেতেছে জঙ্গলমহল।
ছবি: অমিত সিং দেও
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.