প্রতীকী ছবি।
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সপ্তাখানেকের মধ্যেই পুলিশের জালে বারুইপুরের হাড়হিম হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত। ধৃতের নাম রবীন মণ্ডল। মগরাহাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ধৃতকে তোলা হবে আদালতে।
উত্তর মনসাতলার বাসিন্দা রবীন মণ্ডলের সঙ্গে প্রায় ২০ বছর আগে বিয়ে হয় ইন্দ্রপালারই বাসিন্দা অঞ্জলির। প্রেম করেই বিয়ে হয় তাঁদের। দুই পুত্রসন্তানও আছে। একজনের বয়স ১৯। আরেকজন ১৪ বছর বয়সি। তারা মামার বাড়িতেই থাকে। রবীন বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করত বলে খবর। পুলিশের খাতাতেও নাম রয়েছে তার। বহুবার জেলবন্দিও ছিল সে। গত ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয় সে। পুজোর আগেই জামিনে মুক্তি পায়।
জামিনে মুক্তির পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে ফের অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, মদ্যপানের টাকা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে সারাক্ষণ ঝগড়াঝাটি হত তার। স্ত্রী এবং সন্তানদের রবীন মারধর করত বলেও অভিযোগ। দশমীর দিন শেষবার প্রতিবেশীরা চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পান। তার পর থেকে আর অঞ্জলিকে দেখতে পাননি কেউ। বাপের বাড়ির লোকজনও অঞ্জলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। দুশ্চিন্তায় রবীনের বাড়িতে আসেন তাঁরা। অঞ্জলি কোথায়, তা রবীনের থেকে জানতে চাওয়া হয়। তবে সদুত্তর দিতে পারেনি সে। তাতেই সন্দেহ আরও জোরাল হয়। এর পর খুঁজতে খুঁজতে ছাগল রাখার ঘরে যান অঞ্জলির বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁরা দেখেন ছাগল রাখার ঘরের মাটি খোঁড়া হয়েছে। এর পর সেখানেই মাটির নিচে মেলে অঞ্জলির দেহ। এদিকে বিষয়টা জানাজানি হতেই এলাকা ছাড়ে রবীন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। মগরাহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হল রবীনকে। কেন এই খুন, তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.