Advertisement
Advertisement
ISCE

পড়ার ফাঁকে সিনেমা দেখেই কাটত দিন, ICSE-তে দ্বিতীয় মেদিনীপুরের আদৃতার রুটিন জানেন?

মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতন থেকে একই নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আরেক ছাত্রী সৃজিতা মণ্ডল।

ICSE 2025: Student from Medinipur ranked second all India basis loves watching thriller movies
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 30, 2025 5:55 pm
  • Updated:April 30, 2025 6:14 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ICSE পরীক্ষায় সর্বভারতীয় স্তরে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় মেদিনীপুরের দুই কন্যা। তাও আবার একই স্কুলের দুই বন্ধুর মাথায় উঠেছে এই শিরোপা। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতন স্কুলের দুই ছাত্রী আদৃতা মাহাতো এবং সৃজিতা মণ্ডল ৫০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৪৯৯ নম্বর। স্বভাবতই স্কুলে এখন খুশির জোয়ার। বাড়িতেও একই পরিবেশ। দুই কন্যার কীর্তি দেখে তাদের অধ্যবসায় আর মেধা নিয়ে তো কোনও প্রশ্নই নেই। সকলের উৎসাহ এখন একটাই, এত পড়াশোনার ফাঁকে কী করত আদৃতা, সৃজিতারা? তাতে যা জানা গেল, তাতে চক্ষুচড়কগাছ অনেকেরই। সিনেমার পোকা আদৃতা! পড়া হয়ে গেলেই থ্রিলার, সাইফাই নিয়ে বসত আইসিএসসি-তে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হওয়া মেয়েটি।

মেদিনীপুরের বাসিন্দা আদৃতা ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করেছে বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনে। বাবা ফিজিক্সের শিক্ষক, মা গৃহবধূ। মেয়ের এমন বিরাট সাফল্যে বাড়িতে আনন্দের শেষ নেই। সারাদিন কি পড়াশোনাই করত আদৃতা? মোটেই তা নয়। আইসিএসই-তে পাঁচশোর মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পাওয়া মেয়ে হেসে জানাচ্ছে, থ্রিলার, সাইন্টিফিক ফিকশনের ভক্ত সে! সময় পেলেই এসব সিনেমা দেখত। বাঁধাধরা সময় পড়াশোনা করেনি। তবে যখন পড়তে বসেছে, তখন খুব মন দিয়ে পড়েছে। আরেকটা শখ অবশ্য আছে আদৃতার – ছবি আঁকা। রং, তুলি, ক্যানভাসে নিজের সৃষ্টিকর্মে মাঝেমধ্যে মেতে উঠতে দেখা যায় তাকে।

Advertisement

আদৃতার মার্কশিট যে দারুণ, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ইতিহাস, ভূগোল, বায়োলজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন – এই ছ’টি বিষয়ে একশোয় একশো পেয়েছে সে। ইংরাজিতে ১ নম্বর কম পেয়েছে। একই ফলাফল আদৃতার সহপাঠী সৃজিতা মণ্ডলেরও। সেও ICSE-তে ৪৯৯ নম্বর পেয়ে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে। মেয়ের সাফল্য নিয়ে শিক্ষক বাবার বক্তব্য, ”আমি ফিজিক্সের শিক্ষক হলেও মেয়েকে খুব একটা পড়া দেখাতে পারতাম না। ওর কোথাও সমস্যা হলে, এসে বলত। সেটুকু আমি দেখিয়ে দিতাম। বাকি সব ওর মা দেখতেন। আর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও খুব সাহায্য করেছেন।” ভবিষ্যতে কী হতে চায় আদৃতা? তা অবশ্য এখনও ঠিক ভেবে উঠতে পারেনি সে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement