সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহরমের দিন বিসর্জন দিতে গেলে প্রয়োজন প্রশাসনের অনুমতি। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আদালতের পক্ষ থেকে। তবে বিসর্জনের দুদিন আগেও, কোনও পুজো কমিটির পক্ষ থেকে মহরমের দিন বিসর্জনের অনুমতি চেয়ে চিঠি আসেনি। শুক্রবার পর্যন্ত এরকম কোনও চিঠি তারা পাননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আদালত জানিয়েছিল, প্রশাসন অনুমতি দিলে তবেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ১ অক্টোবর একাদশীর দিন বিসর্জনের কোনও আবেদন এলে তা বিবেচনা করবে প্রশাসন। পরিস্থিতি বুঝেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিজেপির অবশ্য দাবি, একাদশীর দিন কেউ প্রতিমা বিসর্জন দিতে চাইলে পুলিশ তার অনুমতি দিতে বাধ্য— এমনটাই জানিয়েছে আদালত। পুলিশ অনুমতি না দিলে তা আদালত অবমাননার শামিল হবে।
[আবাসনের পুজোয় সেরার স্বীকৃতি কোন পুজোগুলির দখলে?]
কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে বিসর্জন করা হবে। যে রাস্তায় মহরমের তাজিয়া বেরোবে, সেই রাস্তা দিয়ে বিসর্জনেন শোভাযাত্রা যাবে না। রুট আালাদা করতে হবে। তবে এখনও পর্যন্ত ওইদিন বিসর্জনের জন্য কোনও পুজো কমিটি আবেদন করেনি। পুলিশ মনে করছে, সম্ভবত বিতর্ক এড়াতেই পুজো কমিটিগুলির এই সিদ্ধান্ত।
এর আগে, নবান্নে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, কলকাতার ২৬০০ বারোয়ারি পুজো কমিটি পুজোর অনুমতি নেওয়ার সময়েই জানিয়ে দিয়েছিল, তারা কেউ একাদশীর দিন বিসর্জন দেবে না। শুধু কলকাতাই নয়, গোটা রাজ্যে প্রায় ২৫ হাজার পুজো হয়। তাদের কারওর থেকেই কোনও আবেদনপত্র জমা পড়েনি। তাই বিষয়টি নিয়ে আর জলঘোলা করতে রাজি নয় পুলিশ।
[নবমীর সকাল থেকেই মুখ ভার আকাশের, সন্ধ্যায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা]
চলতি বছর একই দিনে পড়েছে একাদশী ও মহরম। একথা মাথায় রেখেই একাদশীর দিন দুর্গাপুজোর বিসর্জন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার আদালত স্পষ্ট জনিয়ে দিয়েছে একাদশীর দিনও বিসর্জন হবে।
রাজ্য সরকারের দাবি, বিসর্জন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় সরকারের পক্ষেই গিয়েছে। কারণ, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সরকারই ঠিক করবে কবে বিসর্জন হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.