রাজকুমার কর্মকার, জলদাপাড়া: জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে ফের বন্যজন্তুর হামলার মুখে পড়লেন এক বনকর্মী। শিশামারা বিটে কুনকি হাতির হানায় গুরুতর জখম ওমপ্রকাশ নায়েক নামে বনদপ্তরের এক অস্থায়ী মাহুত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি তিনি। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত বনকর্মীরা। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের ডিএফও বিমান বিশ্বাস।
[গন্ডারের হামলায় ছিন্নভিন্ন বিট অফিসার, জলদাপাড়ায় ঘনাল রহস্য]
বনের হাতি নয়। পোষা হাতি বা কুনকি হাতির আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত হলেন বনদপ্তরের এক কর্মী। বনদপ্তর সূত্রে খবর, আক্রান্ত ওমপ্রকাশ নায়েক কুনতি হাতিদের অস্থায়ী মাহুত। শনিবার সকালে মেনকা নামে একটি কুনকি হাতিকে স্থানীয় হলং নদীতে স্নান করাতে গিয়েছিলেন তিনি। ওমপ্রকাশের সঙ্গে আরও একজন মাহুত ছিলেন। ফেরার পথে, শিশামারা বিট এলাকায় মাঝরাস্তায় হাতিটি দাঁড় করিয়ে প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই আচমকা ওমপ্রকাশকে পিঠ থেকে ফেলে দেয় কুনকি হাতিটি। দাঁত দিয়ে তাঁকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয় সে। ঘটনার গুরুতর আহত ওই অস্থায়ী মাহুতকে প্রথমে মাদারিহাট ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ওমপ্রকাশের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলাকারী কুনতি হাতিটিকে আপাতত বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দপ্তর। ঘটনার বনকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উদ্বিগ্ন জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের ডিএফও বিমান বিশ্বাসও।
[জন্মের পর জোড়া মাথা, অদ্ভুত বাছুর দর্শনে পাত্রসায়রে মেলা লোক]
গত সেপ্টেম্বরেও জলদাপাড়ায় কুনতি হাতির আক্রমণে একজন মাহুতের মৃত্যু হয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মাহুতদের প্রশিক্ষণের খামতির কারণে বারবার এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। আর দিনেক কয়েক আগেই জলদাপাড়ায় উন্মত্ত গন্ডারের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল সিলতোরসা বিটের অফিসার উত্তম সরকারের। রাতভর তাঁর মৃতদেহ জঙ্গলেই পড়েছিল।
[এটা পেঁপে না ‘পাখি’? আজব কাণ্ড বাংলারই এক বাগানে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.