Advertisement
Advertisement
Purulia

‘সুপ্রিম’ রায়ে চাকরিহারা ইংরাজির ‘ফার্স্ট বয়’, PhD শিক্ষকও! হা-হুতাশ পুরুলিয়ার স্কুলে

চাকরিহারাদের তালিকায় রয়েছেন প্রাথমিক স্কুল থেকে আসা বিজয় মাহাতো, কৃষিদপ্তরের চাকরি ছেড়ে শিক্ষক হওয়া মলয় মুখোপাধ্যায়।

In Purulia, many scholars lost teaching job after Supreme Court's verdict of cancellation of 26 thousands jobs
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 3, 2025 8:22 pm
  • Updated:April 3, 2025 8:24 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ফার্স্ট বয়ও অযোগ্য! শীর্ষ আদালতের রায়ে চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকায় থাকা ইংরেজিতে সারা রাজ্যের প্রথম শুভাশিস পানের নাম। বাতিল হয়েছে ইতিহাসে রাজ্যের মধ্যে সপ্তম স্থানাধিকারী রঞ্জন মাহাতোর শিক্ষকতার চাকরিও। বাতিলের তালিকায় রয়েছেন রসায়নে পিএইচডি করা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ‘কৃতী’ শিক্ষকেরা এভাবে চাকরি হারা হওয়ায় হতবাক শিক্ষা মহল। অযোগ্যদের পাশাপাশি যোগ্যদের চাকরি যাওয়ার রায়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছেন এই কৃতী শিক্ষকেরা।

২০১৬ সালে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তারপর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া হবার পর ২০১৮ সাল থেকে বিষয় ভিত্তিক নিয়োগ শুরু হয়। কেউ কেউ এই শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন নিজেদের গবেষণা বা পুরনো চাকরি ছেড়ে। কমিশনের পরীক্ষায় ইংরাজিতে রাজ্যে প্রথম হওয়া বাঁকুড়ার ইন্দপুর থানার কেলিয়াপাথর গ্রামের বাসিন্দা, শিক্ষক শুভাশিস পান বলেন, “এদিন আমার বিদ্যালয় গাড়াফুসড় হাই স্কুলে গিয়ে আমি প্রথম টার্মের পরীক্ষার ডিউটি করছিলাম। খবরটা পেয়ে হতবাক হয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে আসি। ভাবতে অবাক লাগে, সুপ্রিম কোর্টের অযোগ্যদের বেছে বেতন বন্ধ করার আদেশ দিল। অথচ আমরা যারা যোগ্য, তাদের প্রতিও অবিচারের বাণী শুনিয়ে দিল।”

Advertisement

এই শিক্ষকতার চাকরি করতে করতে শহর পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধের নিচে বাড়ি বানাতে গিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়েছিলেন পাড়া ব্লকের ভাগাবাঁধ হাই স্কুলের শিক্ষক রমেশচন্দ্র মাহাতো। তাঁর কথায়, “চাকরি পেয়েই লোন নিয়ে বাড়ি বানিয়েছিলাম। আজ এভাবে চাকরিহারার হয়ে আমি স্তম্ভিত! আমরা যোগ্য, আমাদের পাশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে থাকবেন বলেই বিশ্বাস রাখি।”

এই চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছেন অন্য চাকরি ছেড়ে আসা শিক্ষকরাও। যেমন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি ছেড়ে আসা বিজয় মাহাতো, কৃষি দপ্তরের চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দেওয়া মলয় মুখোপাধ্যায়। নিজেদের গবেষণা সেইসঙ্গে পুরনো চাকরি ছেড়ে আবার চাকরিহারা হয়ে এখন শুধুই তাদের হা-হুতাশ! রঘুনাথপুর হাইস্কুলের শিক্ষক কৈলাশ বাউরি চাকরিহারা হয়ে ভেঙে পড়েন। তাঁর কথায়, “সিবিআই দীর্ঘ তদন্তের পরেও কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য সেটা বেছে নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারল না, এটাই সবচেয়ে আশ্চর্যের।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement