উত্তর-পূর্ব সীমান্তে রেল পুলিশের বাড়তি নজরদারি। নিজস্ব ছবি
সুব্রত বিশ্বাস: গত ২২ এপ্রিল জঙ্গিদের গুলিতে কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকায় ঝরেছে রক্ত। ২৫ জন পর্যটক এবং একজন স্থানীয় বাসিন্দার প্রাণ গিয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা জঙ্গিরা আরও নাশকতা চালাতে পারে। এই আবহে দেশজুড়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁসা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলও। উত্তরবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া একাধিক রেল স্টেশনে বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে আরপিএফ এবং জিআরপি। একাধিক ট্রেনে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি রেললাইনেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিলকিঞ্জল শর্মা বলছেন, “পহেলগাঁও কাণ্ডের পর যাত্রী সুরক্ষায় বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। রেলের তরফেও একাধিক নির্দেশ এসেছে। সেই মতো তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আরপিএফ এবং জিআরপি যৌথভাবে এই কাজ করছে।”
রেল জানাচ্ছে, বাড়তি নজরদারির মধ্যে রয়েছে এরাজ্যের বেশ কিছু স্টেশন। একাধিক ট্রেনে পুলিশ কুকুর নিয়েও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। উত্তর-পূর্বের একাধিক জায়গায় ট্রলি নিয়ে রেললাইনেও তল্লাশি চালাচ্ছে আরপিএফ এবং জিআরপি।
বৃহস্পতিবার বালুরঘাট, এনজেপি, চ্যাংরাবান্দা-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক স্টেশনে ট্রেনের মধ্যে তল্লাশি চালাতে দেখা যায় রেলপুলিশকে। এদিন দুপুরে বালুরঘাট রেল স্টেশনে যাত্রীদের নিয়ে বিশেষ সচেতন শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবির শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বুনিয়াদপুর আরপিএফের ইন্সপেক্টর কৃষ্ণেন্দু দাস। আরপিএফ জানায়, বালুরঘাটের তিনদিক বাংলাদেশ সীমান্তে ঘেরা। মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের খবর আসে। সম্প্রতি বালুরঘাট স্টেশনে এক বাংলাদেশি ধরাও পড়েছিল। তাই বাড়তি সর্তকতা নেওয়া হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.