পলাশ পাত্র, তেহট্ট: ভারতের এক যুবককে মারধর ও তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দু’দেশের আধিকারিকদের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। বিষয়টি জানতে পেরে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের।
পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁটাতারের ওপারে এমন ভারতীয় ভূখণ্ডে এমন কিছু মানুষ বাস, যাঁদের সকলেরই ভারতীয় ভোটার কার্ড, প্যানকার্ড ছিল।একে একে তাঁদের সকলেই এদেশেই চলে আসেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে এদেশে আসতে পারেননি সুমন শেখ নামে ওই যুবকের পরিবার। ফলে ওই একটি পরিবারই থেকে গিয়েছিল ওই এলাকায়। জানা গিয়েছে, ১১ জুলাই রাতে বাংলাদেশ পুলিশ সুমন শেখের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ, সুমনকে বেধড়ক মারধরের পর তাঁকে টানতে টানতে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে নিয়ে যায়। এমনকী ঘরে মজুত করা খাবারও নিয়ে যায় পুলিশ কর্মীরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মথুরাপুর গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে গোটা বিষয়টি জানান।
তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার দু’দেশের সীমান্তের কর্তারা ফ্ল্যাগ মিটিং করেন। তবে আক্রান্তের মায়ের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে বাংলাদেশের তরফে। বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, “১১ জুলাই বাংলাদেশ থেকেই সুমন শেখকে পাকড়াও করা হয়েছে। তাঁর কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না।” তবে ঠিক কোন অভিযোগের ভিত্তিতে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার কোনও বৈধ কাগজ এখনও এদেশের হাতে তুলে দিতে পারেনি বাংলাদেশ পুলিশ।
সীমান্তের বৈঠকের পরই এদিন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সাংসদ আবু তাহেরের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয়রা। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, “আমি মঙ্গলবার সংসদে এই বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাব। ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। যুবককে গাঁজার মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অনুমান। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাব।” কিন্তু এসব দীর্ঘ পদ্ধতি কাটিয়ে কতদিনে দেশে ফিরবে সুমন, এখন সেই অপেক্ষায় পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.