নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: গোটা দিনের লড়াই শেষ। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন সন্দেশখালিতে গুলিবিদ্ধ ভিলেজ পুলিশ। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ মাইতি। সন্দেশখালি থানার বউঠাকুরানি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক। ২০১২ সালে ভিলেজ পুলিশ হিসেবে কাজ যোগ দিয়েছিলেন মৃত বিশ্বজিৎ। শুক্রবার রাতে সন্দেশখালির ফুল্লরা শ্মশানঘাট এলাকার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ভরতি করা হয়েছিল শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। পরপর দুবার অস্ত্রোপচারও করা হয় তাঁর। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষণের জেরেই মৃত্যু হয় বিশ্বজিতের।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার গভীর রাতে। এদিন দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আচমকাই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় সন্দেশখালির ফুল্লরা শ্মশানঘাট চত্বর। গোপন সূত্রে সে খবর পৌঁছয় পুলিশের কাছে। তড়িঘড়ি থানার সেকেন্ড অফিসার অরিন্দম হালদার-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ আসছে বুঝতে পেরেই আক্রমণের পথে হাঁটে দুষ্কৃতীরা। প্রতিনিয়ত পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন সন্দেশখালি থানার সেকেন্ড অফিসার ও ভিলেজ পুলিশ-সহ মোট তিন জন। সামান্য আহত হন আরও কয়েকজন।
খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী আবারও ফুল্লরা শ্মশানঘাট চত্বরে যায়। তবে ততক্ষণে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর পুলিশের তরফে গুলিবিদ্ধদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনজনকেই কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার বিকেল পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসা চলছিল বিশ্বজিতের। শনিবার বিকেলে চিকিৎসায় সারা দেওয়া বন্ধ করে দেয় বিশ্বজিৎ। সন্ধেয় তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। বিশ্বজিতের মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.