Advertisement
Advertisement
Howrah

অনুপ্রেরণা মুখ্যমন্ত্রী, সংসারের হাল ধরতে আখের রস বেচছেন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী

আখের রস বিক্রি করেই বি-টেকের খরচ তুলেছেন ছাত্রী।

Inspired by the Mamata Banerjee engineering student of Howrah sells sugarcane juice to support her family
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 2, 2025 3:38 pm
  • Updated:May 2, 2025 3:40 pm  

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: আখের রস বিক্রি করে নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাচ্ছেন। সেইসঙ্গে নিজের স্বপ্নের ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুনছেন হাওড়ার তরুণী। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের রিং রোডের পাশে গেলেই চোখে পড়বে ছোট একখানা আখের রসের স্টল। সেখানেই আখের রস বিক্রি করছেন সুস্মিতা বড়াল। সুস্মিতার কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর বার্তাই তাঁকে এই কাজের ভরসা জুগিয়েছে।

প্রায় এক বছর আগে নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাতে নতুন কাজ শুরু করার ভাবেন সুস্মিতা। পাশে দাঁড়ায় পরিবার ও বন্ধুরা। এরপরই ডুমুরজলা রিং রোডের পাশে আখের রস বিক্রির একটি স্টল খোলেন তিনি। নাম রাখেন ‘জিভ সিপ’। সুস্মিতার কথায়, “ব্যান্ডেলে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতক করছি। পড়াশোনার খরচ অনেক। নিজেই যাতে পড়াশোনার খরচ তুলতে পারি সেজন্যই আখের স্টল খুলেছিলাম।” স্টলে আধুনিক মেশিনে আখের রস তৈরি করছেন তিনি। পাশাপাশি মিলছে আমপানা। আখের রসের সঙ্গে আম কিংবা আনারসের পাল্প মিশিয়ে নতুন ফিউশন তৈরি করছেন সুস্মিতা। তিনি বলেন, “এখন বড় বড় শপিংমলেও আখের রস মিলছে। গরমকালে এর বিকল্প নেই। তাই আখের রস দিয়েই নতুন কিছু তৈরি করতে চাইছি।”

Advertisement

সুস্মিতার স্টলের সামনে একটি ব্যানারে আখের রস পানের যাবতীয় শারীরিক গুণাবলি লেখা। পরিছন্নতা বজায় রাখতে হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করছেন তিনি। নজরে পড়ছে ভিডও। কিন্তু শুরুর দিকে সুস্মিতার আখের স্টলে সেভাবে ভিড় জমত না। একটি মেয়ে এই কাজ করছে দেখে অনেকে নাকি হাসিঠাট্টাও করেছিলেন। কিন্তু গরম বাড়তেই ভিড় বাড়ছে। বর্তমানে প্রতিদিনে প্রায় ৭০০ টাকার আখের রস বিক্রি করছেন তিনি। আগামীতে শুধু চাকরিটাই লক্ষ্য নয়, নিজের তৈরি ব্র্যান্ড ‘জিভ সিপ’-কে ঘিরেই সফল ব্যবসায়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তাঁর এই স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলতে ভরসা জোগাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর কথা। কী সেই কথা? সুস্মিতা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় আজকের প্রজন্মকে কিছু কাজ শুরু করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য উৎসাহ দেন। কাজ ছোট্ট হোক। একদিন তা বড় হবেই। আমিও বিশ্বাস করি সেটা।” সুস্মিতার এই কাজ দেখে এখন অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement