শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: শোল, বোয়ালের ভোগ দিয়ে মায়ের পুজো হয় দেবী চৌধুরানী কালী মন্দিরে। শোল মাছ নাকি নিজেও পছন্দ করতেন দেবী চৌধুরানী। আর তিস্তা নদীর বোয়াল মাছও ছিল তাঁর পছন্দের তালিকায়। দেবী চৌধুরানীর পছন্দের সেই শোল, বোয়াল মাছ দিয়ে আজও ভোগ নিবেদন হয় জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ের দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালীর মন্দিরে।
জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন গোশালা মোড় দেবী চৌধুরানী মন্দিরের প্রথম পুরোহিত ছিলেন ভবানী পাঠক। ভবানী পাঠকের পরে এই মন্দিরের পুরোহিতের তালিকায় নাম উল্লেখ আছে নয়ন কাপালিকের। জানা গিয়েছে, ১৮৯০ সালে নরবলি দেওয়ার অভিয়োগে নয়ন কাপালিকের প্রাণদণ্ড হয়। তারপর থেকেই এই মন্দিরে বন্ধ হয়ে যায় নরবলি প্রথা। তবে কালী পুজোর রাতে আজও পাঠা বলি হয়ে আসছে। প্রাচীন বট পাকুড়ে ঘেরা মন্দির। নিস্তব্ধতায় ঘেরা চারপাশ। দিনের বেলায় একা ঘুরলে ভয়ে কাটা দিয়ে ওঠে শরীর। কথিত আছে, এই মন্দিরে শ্মশান কালী মায়ের পুজো দিয়ে অভিযানে বের হতেন দেবী চৌধুরানী। সঙ্গী ভবানী পাঠক।
এখন এই মন্দিরের পুরোহিতের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সুভাষ চৌধুরী। তিনি জানান, “নিত্য পুজোর পাশাপাশি কালী পুজোর রাতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। সেখানে ডাল, ভাত, তরকারি, পাঁচ রকমের ভাজার পাশাপাশি দেবী চৌধুরানীর প্রিয় শোল, বোয়াল মাছের ভোগ দেওয়া হয় শ্মশান কালীকে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হবেনা। মধ্য রাতে তান্ত্রিক উপাচার মেনে পুজো হবে। ভোররাত পর্যন্ত পুজো চলবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.