সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কৃষ্ণনগরে ছাত্রী খুনের ঘটনায় তদন্তে বড় পদক্ষেপ। তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরানো হল সাব ইন্সপেক্টর সুমিত দেকে। তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হল ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার আধিকারিক কৌশিক সাউকে।
বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পরিচয় জানা যায়। অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন এবং খুনের পর প্রমাণ লোপাটে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রীর প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশে আস্থা নেই বলেই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনায় নিহতের পরিজনেরা। টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝেই এই খুনের ঘটনায় এবার তদন্তকারী অফিসার বদল করা হল। এই মামলায় তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্বে এলেন ইন্সপেক্টর কৌশিক সাউ।
অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয় ছাত্রীর। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানান, জীবিত অবস্থায় সম্ভবত ছাত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু বলেননি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ছাত্রীর মৃত্যু কীভাবে হল, তা স্পষ্টভাবে জানা যাবে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বাড়িতে পৌঁছয় নির্যাতিতার দেহ। মৃত মেয়েকে দেখে জ্ঞান হারান ছাত্রীর বাবা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.