সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: দশ হাজার টাকার বিনিময়ে ছাত্রীকে পাশ করিয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়ার অভিযোগে শিলিগুড়ি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান অমিতাভ কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার থেকে কাজে নামবে। আগামী এক মাসের মধ্যেই তদন্ত কমিটি নিজেদের কাজ সেরে রিপোর্ট জমা দেবে কলেজ পরিচালন সমিতিতে। সোমবার শিলিগুড়ি কলেজের (Siliguri College) পরিচালন সমিতি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরিচালন সমিতির সভাপতি জয়ন্ত কর জানিয়েছেন, ওই অধ্যাপকের (Professor) আগামী একমাস কলেজে আসা বন্ধ করে দেওয়া হল। তাঁকে ছাত্রছাত্রী সম্পর্কিত সমস্তরকম দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিলিগুড়ি কলেজের ওয়েবসাইট থেকে অমিতাভ কাঞ্জিলালের নাম এবং ফোন নম্বর মুছে দেওয়া হচ্ছে অস্থায়ীভাবে। জয়ন্ত বাবু বলেন, “তদন্ত কমিটি এবং পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে যদি ওই অধ্যাপক নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণিত করতে পারেন তাহলে ফের তাঁকে সমস্ত দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হবে। দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন পরিচালন সমিতির সমস্ত সদস্যরা। পাশাপাশি এ বিষয়ে শিলিগুড়ি কলেজ কর্তৃপক্ষ আইনি পরামর্শ নেবে। সেই অনুযায়ী দ্রুত অভিযুক্ত অধ্যাপককে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিন।”
তদন্তের জন্য অমিতাভবাবুকে এবং অভিযোগকারী ছাত্রীকেও কমিটির সামনে হাজিরা দিতে হবে। তবে সমস্তটাই হবে কলেজ কর্তৃপক্ষের নজরদারির মধ্যে। এ বিষয়ে অবশ্য অভিযুক্ত অধ্যাপক কোনও রকম মন্তব্য করেননি। জানা গিয়েছে, সাত সদস্যের কমিটির প্রধান করা হয়েছে কলেজের অধ্যাপিকা ঝিনুক দাশগুপ্তকে। কমিটিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচিত প্রতিনিধি শিলিগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ড: সুপ্রকাশ রায় এবং ড: জিনিয়া মিত্রও। এই সাত সদস্যের কমিটির সামনে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে অভিযুক্ত অধ্যাপককে। তবে আপাতত অধ্যাপকের বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। আপাতত কর্মবিরতিতে থেকেও যথারীতি বেতন পাবেন ওই অধ্যাপক। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অমিতাভ কাঞ্জিলালকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.