সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফোন পেয়ে দরজা খুলেছিলেন বন্ধুপ্রকাশ পাল। তারপরই মুহূর্তে শেষ হয়ে গিয়েছে গোটা পরিবার। সেই ঘটনার পর এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। পুলিশের জালে ধরাও পড়েছে জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের মুল অভিযুক্ত। খুনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে প্রতিশোধস্পৃহা। কিন্তু এখনও উত্তর মেলেনি অনেক প্রশ্নের। এখনও রহস্যের শিকড় খুঁজে চলেছে তদন্তকারীরা। সন্দেহভাজন সৌভিকের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হচ্ছে ধৃত উৎপলকে। তবে উৎপলকে গ্রেপ্তারের পরই গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দশমীর সকালে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানের বাসিন্দা বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তাঁর স্ত্রী, সন্তানকে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তে নামে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর ঘটনার ৭ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার করা হয় পেশায় রাজমিস্ত্রি উৎপল বেহরাকে। পুলিশের তরফে জানানো হয়, টাকা নিয়ে বিবাদের জেরেই খুনের ছক কষেছিল উৎপল। পরিকল্পনামাফিক নারকীয় হত্যালীলা চালায় সে। এরপর ঠান্ডা মাথায় সমস্ত প্রমাণ লোপাট করে ঘটনাস্থল ছাড়ে উৎপল। কিন্তু এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, পেশাদার খুনি না হওয়া সত্ত্বেও ২০ বছরের এক যুবকের একার পক্ষে মাত্র ৫ মিনিট সময়ে এই নারকীয় ঘটনা ঘটানো সম্ভব?
জানা গিয়েছিল, বন্ধুপ্রকাশকে ফোন করেই তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছিল উৎপল। নিহত শিক্ষকই দরজা খুলে দিয়েছিল। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে বন্ধুপ্রকাশকে আক্রমণ করে উৎপল। তদন্তে উঠে আসে, বিউটি পাল ও তাঁর সন্তান উৎপলকে দেখে ফেলেছিল। সেই কারণেই নাকি তিনজনকে খুনের ঘটনা। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে যদি বন্ধুপ্রকাশকে খুনের সময়ই তাঁরা অভিযুক্তকে দেখে থাকে তবে আর্তনাদ করল না কেন? অর্থাৎ খুনের সময় একাধিক ব্যক্তির উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। পাশাপাশি, উৎপলকে দেখেই দরজা খুলে দিয়েছিল বন্ধুপ্রকাশ? নাকি অন্য কেউ এসেছিল? তা নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.