শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: পিছিয়ে পড়া প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার ছেলে শুধুমাত্র মেধার জোরে স্কুল, কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা, সর্বত্র সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পুলিশের খাতায় নাম উঠে গেল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের নিমতিতার হিমাংশু কর্মকারের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনীকে। অঙ্কে স্নাতকোত্তরের পর এখানেই গবেষণা করছিলেন হিমাংশু। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার (Arrest) করেছে। এই ঘটনার পর জেলায় তাঁর বাড়ি গিয়ে দেখা গেল, বাড়িতে তালা। কেউ নেই।
এক ভাই, বোন আর মা-কে নিয়ে সংসার ছিল হিমাংশুর। বাবার মৃত্যু হয়েছে বছর দশেক আগে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনা করলেও ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে মেধাবী হিমাংশুর নবোদয় বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। তারপর থেকেই এখনও পর্যন্ত বাইরেই পড়াশোনা তাঁর। হিমাংশুর বড় দিদিও কলকাতায় পড়াশোনা করেন। মা স্থানীয় শেরপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পার্শ্বশিক্ষিকা। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিমাংশু কর্মকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অঙ্কে (Mathematics) স্নাতকোত্তরের পর সম্প্রতি, মাস দুয়েক আগে পিএইচডিতে (PhD) ভরতি হন। কিন্তু তারই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং, ছাত্রমৃত্যুতে নাম জড়িয়ে গ্রেপ্তার হলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় হিমাংশুর গ্রেপ্তারের খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হিমাংশু খুব ভাল ছেলে। কিন্তু কীভাবে এই অঘটন ঘটল, সে সম্পর্কে ধারণা নেই কারও। এদিকে তাঁর গ্রেপ্তারির পর থেকেই সামশেরগঞ্জের নিমতিতার কর্মকারপাড়ায় হিমাংশুর বাড়িতে তালা পড়েছে। বাড়িতে নেই মা-ও। ফলে পরিবারের কারও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.