শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে। কিন্তু, মাস মাইনের চাকরি নয়, বিভিন্ন সংস্থার হয়ে প্রোজেক্টে কাজ করত। হাত পাকিয়েছিল বন্য পশুর দেহাংশ পাচারেও! জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি থেকে ওই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার-সহ চার পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করল বনদপ্তরের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃতদের কাছে মিলল সাড়ে তিন কেজি হাতির দাঁত।
[জামাইষষ্ঠীতে এসে আর ফেরার নাম নেই, যেতে বলায় অভিমানে আত্মঘাতী দম্পতি]
পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা ডুর্য়াস। জঙ্গলে হাতি, চিতাবাঘ-সহ বন্যজন্তুদের অভাব নেই। ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে বন্যজন্তুদের দেহাংশ চোরাপথে পাচার হয়ে যায় ভিনরাজ্যে, এমনকী ভিনদেশেও। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে ধুপগুড়িতে হাতেনাতে চারজন পাচারকারীকে ধরে ফেলল বনদপ্তরের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। ধৃতদের মধ্যে একজন আবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার! তাদের কাছ থেকে সাড়ে তিন কেজি হাতের দাঁত উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অসম থেকে হাতির দাঁতগুলি আনা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স হয়ে নেপালের পাচারের ছক কষেছিল ধৃতেরা। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। গোপন সূত্রে্ খবর পেয়ে যান বনদপ্তরের টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। রবিবার ভোরে হাতির দাঁত নিয়ে ৪ পাচারকারী যখন ধুপগুড়ির জলঢাকা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছন, তখন তাদের ধরে ফেলেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। উদ্ধার হয় সাড়ে তিন কেজি হাতির দাঁত। চোরা বাজারে এক কেজি হাতির দাঁতের দাম প্রায় দু’লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে।
ধৃতদের অন্যতম জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির বাসিন্দা সাধন রায়। তার বাড়ি ময়নাগুড়ির দূর্গাবাড়ি এলাকায়। সে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। বনদপ্তর সূত্রে খবর, একসময়ে হলদিয়ায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করত সাধন। বেশ কয়েক বছর আগে সেই চাকরি ছেড়ে দেয় ওই যুবক। ময়নাগুড়িতে বিভিন্ন সংস্থার হয়ে প্রোজেক্টের কাজ করতে শুরু করে সে। আর ফ্রিলান্সিংয়ের আড়ালে চলত বন্যপশুর দেহাংশের পাচারের মতো বেআইনি কারবারও। কয়েক মাস আগেও উত্তরবঙ্গে পাচারের ছক বানচাল করে দিয়েছিলেন বনকর্মীরা। চোরাচালানের আগেই শিলিগুড়ি গান্ধী ময়দান এলাকা থেকে ধরা পড়ে যায় দু’জন পাচারকারী। উদ্ধার হয় প্রায় ১ কেজি হাতির দাঁত, গাঁজা ও বেশ কয়েকটি বিদেশি মুদ্রা।
[‘ক্ষীরের পুতুল’ মেসিকে ঘিরে উচ্ছ্বাস, জন্মদিনের অভিনব সেলিব্রেশনে ফুটবলপ্রেমীরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.