অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: প্রথম দফার ভোটে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে তুমুল উত্তেজনা। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। পুলিশ ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের।
প্রথম দফার ভোট চলাকালীন বিজেপির বিধায়িকা শিখা চট্টোপাধ্যায় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির পশ্চিম ধানতলার ৩০১ নম্বর বুথ চত্বরে যান। তাঁর দাবি, বুকে ঘাসফুল প্রতীক লাগিয়ে তৃণমূলের এক কর্মী ঘোরাফেরা করছেন। তিনি বুথে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলেই অভিযোগ। বিজেপি বিধায়কের দাবি, তাঁকে বাধা দেন। এর পরই তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শাসক শিবিরের অভিযোগ, বিধায়িক শিখা পরিকল্পনামাফিক এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন।
উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে বিধায়ক ভোটকেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করেন। ওই বুথের ভোটার না হওয়ায় তাঁকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বিধায়কের। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করুক, এই দাবি জানান খোদ বিধায়ক। আসরে নামেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা তুমুল অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এর পর পুলিশ একটি গাড়িতে তুলে নেন বিধায়ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শিখা বলেন, ‘‘৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে দেখি দুনিয়ার পুলিশ চলে এল, আমাকে গ্রেপ্তার করতে। পুলিশের দাবি, আমি নাকি বুথের মধ্যে ঢুকেছি। তাহলে যখন বুথে ঢুকেছিলাম তখনই কেন গ্রেপ্তার করল না? আসল ব্যাপার হল, ওই ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড হল মেয়রের ওয়ার্ড। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী পিছিয়ে পড়লে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছেড়ে দেবেন গৌতম দেবকে? তাই শিখাকে আটকাতে হবে। আমাকে নিয়ে গোলমাল করে বুথ ফাঁকা করিয়ে ফলস ভোট দেবে তৃণমূল, এটাই ছিল পরিকল্পনা।’’ এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন গৌতম দেব। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির ঘটনার রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.