অরূপ বসাক, মালবাজার: রাজ্যের অর্থনৈতিক কাঠামোকে উন্নত করতে চপের দোকান খোলার পরামর্শ বারবারই শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্ঠে৷ কোচবিহারের সভা থেকে একই বার্তা দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান৷ তবে সভা সেরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা করলেন, তাতে অবাক গোটা জলপাইগুড়িবাসী৷ হাঁটতে হাঁটতে তিনি ঢুকে পড়লেন একটি চপের দোকানে৷ খাওয়াদাওয়া, গল্পগুজব সবই করলেন তিনি৷
সুযোগ পেলেই হেঁটে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তা সে সকাল হোক কিংবা বিকাল৷ মিলান হোক বা ফ্র্যাঙ্কফুট, দার্জিলিং হোক বা এলিয়ট পার্ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মর্নিং কিংবা ইভনিং ওয়াকের সময় অপেক্ষাকৃত বয়সে তরুণ নিরাপত্তারক্ষীরাও হাঁপিয়ে ওঠেন। তাঁর দ্রুত গতিতে হাঁটার সঙ্গে তাল মেলাতে কালঘাম ছুটে যায় অনেকেরই। মঙ্গলবার দুপুরে কোচবিহারের রাসমেলা মাঠের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “৫০০ টাকা দিয়ে শুরু করুন। দেখবেন আগামীতে অনেক বড় ব্যবসায়ী হয়ে উঠবেন। কোনও কাজই ছোট নয়।” মঙ্গলবার বিকেলেই চালসায় পৌঁছে তেমনই হাঁটতে বেরিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার সময় টিলাবাড়ি পর্যটন কমপ্লেক্সের পাশেই একটি ছোট্ট চপের দোকান দেখতে পান তিনি৷ ওই দোকানে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। চপ কিনে নিজে খেলেন, সবাইকে খাওয়ালেন এবং বেশ কয়েক মিনিট গল্পও করলেন চপ বিক্রেতা এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে। যাতে কার্যত আপ্লুত চপ বিক্রেতা মদন শা’র স্ত্রী সুগন্ধীদেবী। চপ বিক্রেতার স্ত্রী সুগন্ধী বলেন, ‘‘শাকের পকোড়া, আলুর চপ কিনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২২০ টাকার চপ কিনেছেন তিনি।” আপাতত টিনের ছাউনি দেওয়া দোকানেই চপ বিক্রি করেন ওই দম্পতি৷ মুখ্যমন্ত্রী দোকানটিকে দোতলা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান চপ বিক্রেতার স্ত্রী৷
তেলেভাজা, চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ে কিনে খাওয়া বা খাওয়ানো মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রথম নয়। আগেও এই ঘটনা ঘটেছে৷ শা দম্পতির দোকান থেকে প্রতিদিন বহু লোকই চপ কিনে খান৷ কিন্তু ক্রেতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায়, খুশিতে চকচক করছে তাঁদের চোখ৷ চপ বিক্রি করেও যে রাতারাতি সেলেব্রিটি হয়ে যাবেন তা স্বপ্নেও ভাবেননি সুগন্ধী ও তাঁর স্বামী৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.