সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন জলপাইগুড়ির ‘রোমিও’ অনন্ত বর্মন। দিনরাত প্রেমিকা লিপিকা বর্মনের বাড়ির সামনে ধরনা দিয়ে প্রেমিকার হাতে বরমাল্য পরেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া সেদিন দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। অনেকে বলেছিলেন অবশেষে জয় হল ভালবাসার। অনেকে আবার লিপিকার পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন মেয়েটিকে বাধ্য করা হয়েছে বিয়ে করতে। তবে তর্ক যাই উঠুক। বর্মন দম্পতি আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলেব হয়ে উঠেছেন। তাই তো এবার অনন্তর প্রথম জামাইষষ্ঠী উদযাপন কেমন হল, তা জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
[আরও পড়ুন: অবশেষে প্রেমের জয়! প্রেমিকের গলায় মালা দিলেন ধূপগুড়ির লিপিকা]
সত্যিই তো, কয়েকদিন আগে এহেন ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটিয়ে বিয়ে সারলেন অনন্ত, তা প্রথম ষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে শাশুড়ির হাতে কেমন ভোজ সারলেন? না, জুটল জুতো? খোঁজ নিয়ে জানা গেল গোটা বাংলার জামাইরা যখন পাত পেড়ে ইলিশ-চিংড়ি-ভেটকি সাঁটিয়ে ঢেকুর তুলছেন, নতুন জামাই অনন্তর কপালে জুটল তখন আর পাঁচ দিনের মতোই সাধারণ খাবার। মাছ-মাংস-দই-মিষ্টি তো দূরের কথা জামাইষষ্ঠীর দিন মধ্যাহ্ণভোজ সারলেন করলা ভাজা, ডাল আর একটা তরকারি দিয়ে। কারণ, এমনভাবে জোর করে বিয়ে মেনে নেননি লিপিকার বাড়ির লোকজন। তাই অনন্তকে জামাইষষ্ঠীর দিন নাকি নিমন্ত্রনই করেনি শ্বশুরবাড়ি থেকে। ওই কপালে সিঁদুর দান করে বিয়ে হওয়াই সার!
[আরও পড়ুন: ‘আমার ভালবাসার দাম দাও’, প্ল্যাকার্ড হাতে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় যুবক]
প্রসঙ্গত, অনন্ত বর্মন রাজবংশী সম্প্রদায়ের। তাই ওই সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ী জামাইষষ্ঠী পালনের রেওয়াজ নেই তাদের শ্বশুরবাড়িতেও। কিন্তু নিয়মকানুন না থাকলেও, শ্বশুরবাড়ি থেকে নিমন্ত্রন করে খাওয়ানোর চল তো রয়েছে! তার উপর আবার প্রথম জামাইষষ্ঠী বলে কথা। এপ্রসঙ্গে অনন্তর বক্তব্য, “আমার স্ত্রী এখনও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। ও এখনও জানে না কোনও দিন ওর বাড়ির লোক মানবে কি না। তবে আশায় রয়েছে ও।” অনন্তর কথায়, “জানি এক্ষুণি কিছু হবে না। হয়তো পরের বার জামাইষষ্ঠী খেতে পারব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.