অরূপ বসাক: ইচ্ছে ছিল ছেলের বিয়ের বউভাতটা অন্যরকম করবেন। আর জলপাইগুড়ির মাল ব্লকের ক্রান্তির বাসিন্দা ছেলের বাবা রমেন ঘোষ যা করলেন, তা এক কথায় নজিরবিহীন। ছেলের বউভাতে রক্তদান শিবিরের আয়োজনের পাশাপাশি ঘরোয়া বউভাতে বউমার পাশে বসিয়ে পাতপেড়ে খাওয়ালেন এলাকার দুঃস্থ এবং সর্বধর্মের মানুষকে।
[ ভয়, প্রলোভন দেখিয়ে আদিবাসীদের জমি কেনার অভিযোগ বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে ]
আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে উপস্থিত হয়ে, সব দেখে শুনে আপ্লুত পদ্মশ্রী করিমুল হক। বললেন, অনেক বিয়েবাড়ি গিয়েছি কিন্তু এরকম বিয়েবাড়ি দেখিনি। শুনেছিলাম, দুঃস্থদের খাওয়াবেন। কিন্তু এসে দেখলাম স্থানীয় মাদ্রাসার ছেলেদের তো বটেই, সব ধর্মের মানুষদেরই নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হচ্ছে।
[ আত্মরক্ষার পাঠ দিতে ছাত্রীদের ক্যারাটে শেখাচ্ছে পুলিশই ]
পেশায় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী রমেন ঘোষ ক্রান্তির প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সেই সঙ্গে সমাজসেবী মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত তিনি।বড় ছেলে শান্তু ঘোষ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী। ফালাকাটার পাত্রী রেশমির সঙ্গে সামাজিক মতে বিয়ে দেন ছেলের। বৃহস্পতিবার ছিল বউভাত।নিমন্ত্রিত অনেক অতিথি। আর এই বউভাতের দিনেই ছেলে বউমাকে নিয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে বসলেন রমেনবাবু।নিজেও রক্ত দিলেন।
[ পার্থর হুঁশিয়ারি উড়িয়ে ফের বিতর্কিত পোস্ট, অনুপমকে শো-কজ তৃণমূলের ]
পাশাপাশি দুপুরে ঘরোয়া বউভাতে বউমার পাশে বসে পাত পেড়ে খেলেন এলাকার দুঃস্থ এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষরা। এলেন মাদ্রাসার ছাত্ররাও। রমেনবাবু জানান, “খুব কষ্ট করেই এই জায়গায় পৌঁছেছি। গরিব, প্রতিবন্ধী, দুঃস্থদের কেউ নিমন্ত্রণ করে না। আমরা অনেক খাবার ফেলেও দিই। অনেকে সেই খাবারও পায় না। তাই আমি মনে করেছিলাম এই সকল মানুষদের ছেলের বিয়েতে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াব। আজ সেই দিন, আজ আমি খুব খুশি।” নিজের আনন্দের দিনে সমস্ত স্তরের মানুষ পাশে থাকব না তা কখনো হয়! পরিবারের লোকজন রক্ত দিয়ে পুণ্য অর্জন করলেন বলেই মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, চারিদিকে রক্তের সংকট। মানুষের খানিকটা সাহায্য তো অন্তত হবে। আর এই অভিনব আয়োজন দেখে এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ব্যবসায়ী কিংবা ধনী তো অনেকেই হয়, রমেনবাবুর মতো ভাল মানুষ কতজন হয়!
[ জিআই প্রাপ্তির সেলিব্রেশন, ২২ হাজার রসগোল্লায় উৎসব কীর্ণাহারে ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.