সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কার্তুজ কাণ্ডে ধৃত জয়ন্ত দত্তের সঙ্গে শান্তিপুর কানেকশন। তদন্তকারীদের দাবি, জয়ন্ত শান্তিপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বেচুমিয়া এলাকার বাসিন্দা। স্ত্রী ও মেয়ে রয়েছেন। এক বিধবা দিদি রয়েছেন তার। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। তা সত্ত্বেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে আরেকটি বিয়েও করে জয়ন্ত। তারপর থেকে কলকাতাতেই থাকত সে। কার্তুজ কাণ্ডে জয়ন্তর গ্রেপ্তারিকে হতবাক তাঁর পরিবারের লোকজন।
জয়ন্তর স্ত্রী সোমার দাবি, বিয়ের বেশ কয়েক বছর এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় জয়ন্ত। তাকে বিয়ে করে কলকাতায় বসবাস শুরু করে। প্রায় বছর দেড়েক হল শান্তিপুরের বাড়িতে আসেনি সে। তবে দিনসাতেক আগে সোমাকে ফোন করে জয়ন্ত। সোমার দাবি, তাঁর স্বামী জয়ন্ত বিবাদী বাগের নার্সিং চন্দ্র দত্ত অ্যান্ড কোংয়ে কাজ করতেন তা জানতেন না। জয়ন্ত নাকি বলেছিল, সে রাইফেল ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। টিভির পর্দায় স্বামীর গ্রেপ্তারির খবর শুনে রীতিমতো চমকে ওঠেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার ঈশ্বরীপুর এলাকার বাসিন্দা হাজি রশিদ মোল্লার বাড়িতে হানা দেয় রাজ্য পুলিশের এসটিএফের বিশেষ টিম। বাড়ির ভিতর অভিযানে বিপুল পরিমাণ কার্তুজ বাজেয়াপ্ত হয়। বাড়ির মালিক-সহ আরও তিন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা হল হাসনাবাদের বাসিন্দা বছর চল্লিশের আশিক ইকবাল গাজি, পঁয়তাল্লিশ বছরের আবদুল সেলিম গাজি ও শান্তিপুরের জয়ন্ত দত্ত। ধৃত জয়ন্ত দত্ত আবার বিবাদী বাগের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র বিপণিতে কর্মরত। তদন্তকারীদের সন্দেহ, অর্থের বিনিময়ে ওই বিপণি থেকে অস্ত্রপাচার করত জয়ন্ত। সন্দেহের নিরসন করতে শনিবার ওই বিপণিতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.