সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শুধু সাংগঠনিক পর্যায়ে রদবদলই নয়, দলের পুরনো কর্মীদেরও গুরুত্ব দিয়ে ফিরিয়ে আনতে চলেছেন নতুন জেলা সভাপতি। দায়িত্ব নিয়েই পশ্চিম বর্ধমান জেলা নিয়ে নতুনভাবে সাংগঠনিক বিস্তার করতে বৈঠক শুরু করেছেন জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। লোকসভা নির্বাচনে গোটা জেলাজুড়েই দলে ধস নেমেছে। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভার একটিতেও লিড পায়নি তৃণমূল। আসানসোল দক্ষিণ থেকে কুলটি, সব বিধানসভাতেই বিপর্যস্ত তৃণমূল। আশার আলো সভাপতির পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে। এই বিধানসভায় মাত্র ৬,১০০ ভোটে লিড পায় বিজেপি। তৃণমূলেরও ভোট গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে, তা স্পষ্ট সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র জয়ের ব্যবধানে।
[আরও পড়ুন: বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় গ্রামে ঢুকে ‘দাদাগিরি’, তৃণমূল নেতাদের পালটা গণধোলাই]
আসানসোল পুরনিগমের ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯৭টি ওয়ার্ডেই পরাজয় ঘটেছে শাসকদলের। একই হাল দুর্গাপুরেরও। দুর্গাপুরের দুই বিধানসভাতেও প্রায় ৭৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল। দুর্গাপুর নগরনিগমের ৪৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪০টিতে এগিয়েছে বিজেপি। কাঁকসা ব্লকেও ১৬,৭০৯ ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল। জেলাজুড়েই পদ্ম ফোটার পরই তৃণমূল নেতৃত্ব জেলা সভাপতি পদে বদল করে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে দায়িত্ব দেয়। তারপরই সাংগঠিনক রদবদলের সিদ্ধান্ত নেয় দল বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পদের পরিবর্তন ছাড়াও পুরনো তৃণমূল কর্মীদেরও দলে আরও গুরুত্ব দিয়ে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
[আরও পড়ুন: ভোটে হেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থীর]
তিনি বলেন, “যাঁরা যাঁরা মমতাকে ভালবাসে তাঁদেরকে তৃণমূলের ছাতার তলায় আনাই লক্ষ্য। এই জেলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখনও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এই তৃণমূল মানুষের দল। এই বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘কে কোন কমিটিতে জায়গা পেল এটা কোনও বিষয় নয়। মানুষের পাশে থাকতে হবে এটাই মূল উদ্দেশ্য।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.