ছবি: প্রতীকী
রাহুল রায়: প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে নাকি লক্ষাধিক টাকা নিয়েছিলেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। কিন্তু চাকরি মেলেনি। টাকা ফেরত চাওয়ার ‘অপরাধে’ যুবকের শ্বশুরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কিন্তু পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। অগত্যা আদালতের দ্বারস্থ আক্রান্ত যুবক। শেষপর্যন্ত আদালতের মাধ্যমে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
মাথায় ভোজালির কোপ। লোহার রড,বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের উপপ্রধান এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। মাথায় ছ’টি সেলাই, শরীরে অজস্র আঘাত নিয়ে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইসমাইল মণ্ডলের শ্বশুর। এরপরেও উপপ্রধানের হুমকি থেকে রেহাই মেলেনি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ গোটা পরিবারের। অভিযোগ, পুলিশ-ইডি-সিবিআই, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। শেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আক্রান্ত ইসমাইল।
ইসমাইল গাইঘাটা থানার সুবিদপুরের বাসিন্দা। পেশায় গৃহশিক্ষক। ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটে উত্তীর্ণ হন তিনি। ২০১৬ সালে ইন্টারভিউ দিয়েও চাকরি পাননি। ইতিমধ্যে তাঁর শ্বশুরের প্রতিবেশী তৃণমূলকর্মী মোনাজাত খানের সঙ্গে পরিচয় হয় ইসমাইলের। অভিযোগ, মোনাজাত ইসমাইলকে বলেছিলেন ৮ লক্ষ টাকা দিলে প্রাথমিকে শিক্ষকের চাকরি নিশ্চিত। গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশারফ মোল্লার অতি ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন তৃণমূলকর্মী মোনাজাত।
আক্রান্ত ইসমাইলের দাবি, মোনাজাত তাঁকে আশারফের কাছে নিয়ে যান। ইসমাইলের দাবি আশারাফ বলেন,”শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা আছে। তুমি ৮ লক্ষ টাকা দাও। থানার ওসিকে সাক্ষী রেখে বাড়ির পাশের স্কুলে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।” উপপ্রধান আশারফ মোল্লার কথা বিশ্বাস করে ইসমাইল ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে সাতটায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে নগদ ৮ লক্ষ টাকা দেন। কিন্তু তারপরেও চাকরি মেলেনি। উলটে চাকরি চাইতে গিয়ে প্রহৃত হতে হয় বলে অভিযোগ। তবে এ নিয়ে তৃণমূল উপপ্রধানের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। স্থানীয় বিধায়ক বীণা মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমি এবিষয়ে কিছু জানি না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.