নন্দন দত্ত, সিউড়ি: কালীপুজোর (Kali Puja) দিন বিশেষ পুজো না হলেও তারাপীঠ মন্দিরে ভক্তদের ভিড় খুব স্বাভাবিক চিত্র। প্রতি বছরই সকাল থেকে সন্ধে মা তারার আরাধনায় দূরদূরান্ত থেকে মন্দিরমুখী হন ভক্তরা। নিজেদের দুঃখ-দুর্দশা ঘুচিয়ে আলোর পথ দেখানোর প্রার্থনা করেন দেবীর কাছে। তবে কেউ কেউ নিজের জন্য নয়, জনতার জন্য আশীর্বাদ চেয়ে নেন। তিনি যদি হন জনপ্রতিনিধি, তবে তিনি অবশ্যই জনতার হয়েই পুজো দেবেন। ঠিক যেমন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। রবিবার, দীপান্বিতা অমাবস্যায় তারাপীঠে (Tarapith) পুজো দিয়ে জানালেন, মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, ”যে ভোট আসছে তাতে বিয়াল্লিশটা আসনের মধ্যে যেন বিয়াল্লিশটাতেই আমরা জিতি। মা সেই প্রার্থনা মেনে নিয়েছেন, আমাকে আশীর্বাদ করেছেন।”
এদিন দুপুরে তারাপীঠে পুজো দিতে যান বোলপুরের (Bolpur) বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা (Chandranath Sinha)। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ”প্রতি বছর ভোটের আগেই আমি এখানে পুজো দিতে আসি, এবারও এলাম। আমাদের একটাই দাবি মায়ের কাছে। বাংলা যেন শান্তিতে থাকে। বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সবাইকে নিয়ে যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছেন এত বাধা সত্ত্বেও, বিজেপি সরকার, কেন্দ্রীয় এজেন্সির বাধা সত্ত্বেও, তেমনই যেন চলেন। আর সামনে যে লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024), তাতে আমরা বিয়াল্লিশে ৪২টা আসনই যেন পাই। বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ৩ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয় যেন হয়।সেই প্রার্থনা করে এসেছি।”
কী মনে হচ্ছে? প্রার্থনা সফল হবে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ”মা আমার প্রার্থনা শুনেছেন। বেরনোর সময় পকেটটা দরজায় আটকাল, মা-ই আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য দরজা আটকে দিলেন। তিনি আশীর্বাদ করেছেন।” উল্লেখ্য, তারাপীঠে প্রায়শয়ই পুজো দিতে যেতেন কালীভক্ত অনুব্রত মণ্ডল। প্রতিবারই তিনি জনগণের জন্য, দলের জন্য প্রার্থনা করতেন। রবিবার চন্দ্রনাথ সিনহার গলাতেও যেন সেই সুর। নির্বাচনের আগে দলের প্রতি জনসমর্থন যাতে অক্ষত থাকে, তার জন্য প্রার্থনা। সেইসঙ্গে গোটা বাংলার জন্য শুভকামনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.