রাহুল চক্রবর্তী: বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাট। তৃণমূল শাসিত রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। দেশের সেরা হওয়ার লড়াই রয়েছে দু’রাজ্যের মধ্যে। আবার বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াইও বিদ্যমান। কিন্তু লড়াইটা কখনও সম্পর্কের বন্ধনে চিড় ধরাতে পারেনি। দু’রাজ্যের মানুষের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। ব্যবসায়িক আদানপ্রদানও চলেছে। শ্রাবণেই বাংলা থেকে গুজরাট পাড়ি দিয়েছে প্রায় লক্ষাধিক রাখি। রাজ্য সরকার কালনায় রাখি তৈরির পরিকাঠামো তৈরি করেছে। আর সেখানেই তৈরি ‘ময়ূর রাখি’কে পছন্দের সিলমোহর দিয়েছেন গুজরাতের ব্যবসায়ীরা।
[আরও পড়ুন: 8 মাস পর কোমা থেকে জাগাল রাগসংগীত, মিউজিক থেরাপিতে সুস্থতার পথে মালদহের মহিলা]
বর্ধমানের কালনায় রাখি তৈরির কারখানা রয়েছে। যা পরিচালিত হচ্ছে কালনা উইভার্স অ্যান্ড আর্টিসান্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি মারফত। তত্ত্বাবধানে পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ। সেখানে পুঁতি বানানোর মেশিন থেকে পরিকাঠামো তৈরি ও উন্নয়ন করছে রাজ্য সরকার। আড়াইশো জনের উপর মহিলা কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের হাতে তৈরি রাখিই পাড়ি দিয়েছে গুজরাট, মুম্বই, রাজস্থান, পাটনা, বিশাখাপত্তনম। গুজরাত ও মুম্বইয়ে ৮৫ হাজার করে রাখি গিয়েছে বলে জানান সোসাইটির কর্ণধার তপন মোদক। জানালেন, “ময়ূর রাখিটাই পছন্দ করেছে গুজরাত। দাম ১০ টাকা। ওয়েবসাইটে ডিজাইন দেখে গুজরাটের ব্যবসায়ীরা যোগাযোগ করেন। কালনায় এসে রাখির অর্ডার দিয়ে যান। বাকি রাজ্যগুলিতে গড়ে ২৫-৩০ হাজার রাখি গিয়েছে।” রাজ্য সরকারের সাহায্যে কর্মসংস্থান হয়েছে ও আর্থিক শ্রীবৃদ্ধিও হয়েছে বলে জানান তপনবাবু।
রাখি শিল্পের উন্নতিতে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণভাবে পাশে আছে বলে জানিয়েছেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সোসাইটির এক মহিলা কর্মচারী জানালেন, “চিতোরের রানি কর্ণাবতী মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের হাতে রাখি বেঁধেছিলেন। তেমনই আমাদের তৈরি রাখির সুতোয় গিঁট পড়বে গুজরাট, রাজস্থানের ভাইদের হাতে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.