অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: পাচারের হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছিল তাদের। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে মৃত্যু হল গজলডোবা থেকে উদ্ধার হওয়া এক ক্যাঙারুর। তবে বাকি দু’টি ক্যাঙারুই সুস্থ আছে।
সাফারি পার্ক সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল ছিল ওই ক্যাঙারুটি। চিকিৎসা চলছিল। তবে তাতে বিশেষ সাড়া দিচ্ছিল না বন্যপ্রাণীটি। শেষে শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, বেঙ্গল সাফারি পার্কে ক্যাঙারু সাফারি চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এনক্লোজারে রাখা হতে পারে তাদের। এ নিয়ে চিড়িখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আরজিও জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেই ক্যাঙারুর মৃত্যু উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ক্যাঙারুর সাফারির পরিকল্পনাকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিল বলে দাবি তাদের।
যদিও এই উদ্বেগকে অর্থহীন বলেই মনে করছে সাফারি পার্কের কর্তারা। এ প্রসঙ্গে বেঙ্গল সাফারির পার্কের অধিকর্তা দাওয়া শেরপা বলেন, “ক্যাঙারুটি প্রথম থেকেই অসুস্থ ছিল। চিকিৎসায় খুব একটা সাড়া দিচ্ছিল না। আমরা ওকে বাঁচাতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। তবে এই মৃত্যুর কোনও প্রভাব ক্যাঙারু সাফারিতে পড়বে না।”
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে শুক্রবার জলপাইগুড়ির গজলডোবা এলাকা থেকে দু’টি ক্যাঙারু শাবক উদ্ধার করে বনদপ্তর। তার কিছুক্ষণ পরই বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের ডাবগ্রাম রেঞ্জের অন্তর্গত ফাড়াবাড়ি নেপালি বস্তি এলাকা থেকে আরও একটি ক্যাঙারু শাবককে উদ্ধার করা হয়। শনিবার একই এলাকা আরও একটি ক্যাঙারু শাবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলিকে পাচার করা হচ্ছিল বলেই ধারনা বনদপ্তরের। রাস্তায়
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ অসম-বাংলা সীমান্তের বারোবিসা এলাকায় পাচারের আগে একটি পূর্ণবয়স্ক ক্যাঙারু উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইমরাম শেখ ও ভায়েদ শেখ নামে হায়দরাবাদের দুই বাসিন্দাকে গ্রেপ্তারও কর হয় । অন্ধ্রপ্রদেশের নম্বর প্লেটের একটি ট্রাকে করে ক্যাঙারুটিকে পাচার করা হচ্ছিল বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.