সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ডহারবার: ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ঠিকমতো খাবার ও পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের সঙ্গে উস্তি থানার দক্ষিণ কেশিলি গ্রামের বাসিন্দাদের গন্ডগোলকে ঘিরে এলাকা উত্তাল হয়। সেই ঘটনায় পুলিশ ১২ জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার গ্রেপ্তার হওয়া বাসিন্দাদের মুক্তির দাবিতে উস্তি থানায় ধরনায় বসেন সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। পুলিশের সঙ্গে সিপিএম নেতার বাকবিতন্ডাকে ঘিরে চরমে ওঠে উত্তেজনা।
মঙ্গলবার রাতে উস্তির দক্ষিণ কেশিলি গ্রামের একটি স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা ১৫ জন ভিনরাজ্য ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক অভিযোগ জানান, ঠিকমতো খাবার ও পানীয় জল তাঁরা পাচ্ছেন না। গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানান। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। ইটের আঘাতে কয়েকজন পুলিশকর্মী অল্পবিস্তর আহতও হন। ইটের ঘায়ে পুলিশের তিনটি গাড়ির কাঁচও ভেঙে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় এক সিপিএম নেতা-সহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। গ্রেপ্তার হওয়া গ্রামবাসীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে বুধবার উস্তি থানায় আসেন সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি থানার মধ্যেই ধরনায় বসে পড়েন। পুলিশকর্মী ও আধিকারিকরা কান্তিবাবুকে ধরনা তুলতে অনুরোধ করলে দু’পক্ষে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়।
কান্তিবাবু পুলিশ আধিকারিকদের বলেন, ‘আমাকে এখান থেকে তুলতে হলে আমাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’ এই ঘটনায় চরম উত্তেজনা তৈরি হয় থানা চত্বরে। বিষয়টি জানানো হয় পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডেকে। ঘণ্টা দু’য়েক পর পুলিশ সুপারের আশ্বাসে ধরনা তুলে নেন কান্তিবাবু। এরপর রায়দিঘির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। কান্তিবাবু বলেন, তাঁদের এক নেতাকে ধরতে গিয়ে পুলিশ তাঁর বাড়ির মহিলাদের গায়ে হাত দেয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদে থানার পাশে এসে বসেছিলাম। পুলিশের কোনও কাজে বাধাও দিইনি।
[ আরও পড়ুন: বাসের সিটের দুই যাত্রীর মধ্যে টাঙানো হল পলিথিনের পর্দা, করোনা সতর্কতায় অভিনব উদ্যোগ বর্ধমানে ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.