ধীমান রায়, কাটোয়া: ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কাটোয়ার এক দালালের হাতে ৩০০০ টাকা দিয়েছিলেন এক যুবক। ৬ মাস পেড়িয়ে যায়। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাননি। আক্ষেপ করে ওই যুবক ফেসবুকে একটি গ্রুপে পোস্ট করেছিলেন। ভাবেননি টাকা ফেরত পাবেন। কিন্তু ফেসবুকেই হাতেনাতে ফল। বুধবার মঙ্গলকোটের চাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব শেখ ওরফে রাজকুমার শেখ ফেসবুকে পোস্ট করার পর দু’দিনের মধ্যেই কাটোয়ার মহকুমা শাসক সৌমেন পালের হস্তক্ষেপে দালালের হাত থেকে টাকা ফেরত পেলেন।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে মহকুমা শাসকের দপ্তরে হীরা শেখ নামে এক ব্যক্তি ৩০০০ টাকা তুলে দিলেন রাজকুমার শেখের হাতে। তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬ মাস আগে রাজকুমারের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়েছিলেন বলেও স্বীকার করেছেন। কাটোয়ায় গতবছর থেকে চালু হয়েছে পরিবহন দপ্তরের আঞ্চলিক অফিস। কাটোয়া শহরে পরিবহন দপ্তরের কার্যালয় চালু হওয়ায় মহকুমা এলাকার অনেক মানুষই উপকৃত হচ্ছেন। পাশপাশি পরিবহন দপ্তরে দালাল চক্রেরও দৌরাত্মের অভিযোগ মাঝেমধ্যে ওঠে।
চাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার নামে ওই যুবক গত বুধবার বিকেলে একটি গ্রুপে পোস্ট করেছিলেন, “আমি একটা দালাল ধরে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গিয়েছিলাম। আজ ৬ মাসের বেশি হয়ে গিয়েছে তবুও আমাকে লাইসেন্স দিচ্ছে না। ৩০০০ টাকা দিয়ে দিয়েছি। এখন আমি কী করব কেউ একটু হেল্প করবেন প্লিজ?” এই পোস্ট মহকুমা শাসকের নজরে পড়তেই তিনি প্রথমে রাজকুমার শেখের কাছে খোঁজ নেন। তারপর সেই দালালকে চিহ্নিত করে তাকে ডেকে পাঠানো হয় মহকুমা শাসকের দপ্তরে। শুক্রবার দু’জনকে ডেকেই মঙ্গলকোটের কুলসোনা গ্রামের বাসিন্দা হীরা শেখ নামে ওই ব্যক্তি রাজকুমার শেখের হাতে ৩০০০ টাকা ফেরত দিয়ে দেন। যদিও হীরার দাবি, “আমি ওর কাজ করে দিয়েছিলাম। লার্নালের কাজ হাতে দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু লাইসেন্স প্রিন্ট না হওয়ার জন্য দেরি হচ্ছিল।” নিজেকে কাটোয়া আদালতের মুহুরি বলে পরিচয় দিয়েছেন হীরা।
এপ্রসঙ্গে কাটোয়া আদালতের ল ক্লার্কস আ্যসোশিয়শেনের সম্পাদক অসীমনাথ মণ্ডল বলেন, ” ওই নামে আমাদের সংগঠনে কেউ নেই।” টাকা ফেরত পেয়ে রাজকুমার বলেন, ” আমি ভাবতে পারিনি টাকা ফেরত পাব। মাননীয় মহকুমাশাসকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।”
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.