অর্ণব দাস, বারাকপুর: ফের স্কুলে র্যাগিংয়ের (Ragging )অভিযোগ। এবার জুনিয়র ছাত্রীর পোশাক খোলানোর অভিযোগ উঠল একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। এমনকী, এই কীর্তির ভিডিও বানিয়ে পড়শি বয়েজ স্কুলের পড়ুয়াদের পাঠানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোমবার খড়দহের স্কুলে জমায়েত করেন অভিভাবকরা। লিখিত অভিযোগও জমা করেছেন তারা। অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়ে স্কুলে এসেছিলেন খড়দহের পুরপ্রধান নীলু সরকারও। তাঁর সাফ কথা, “খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হবে।”
খড়দহের রহড়া ভবনাথ ইনস্টিটিউশন ফর গার্লস স্কুলে কাঠগড়ায় একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। অভিভাবকদের দাবি, একাদশ শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়াকে স্কুলের শার্ট খুলতে বাধ্য করেছিল। অন্য আরেক পড়ুয়াকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়। আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন অভিভাবকরা। তাদের দাবি, “মেয়েরা বাড়ি গিয়ে বলেছে, একাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা তাদের জামা খোলাচ্ছে। স্কার্ট ধরে টান দিচ্ছে। সেই কাণ্ডের আবার ভিডিও করে পাশের মিশন স্কুলের ছাত্রদের দেখাচ্ছে।” পড়ুয়ারা যাতে একথা পরিবারের সদস্য বা স্কুলের শিক্ষিকাদের না জানায় তার জন্য রীতিমতো ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
মূল ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার। শুক্রবার দুপুরে ছাত্রীর পরিবারের তরফে অভিযোগ জানাতে আসে স্কুলে। সেদিন ছুটি হয়ে যাওয়ায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শনিবার কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল বলে দাবি অভিভাবকদের। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সোমবার স্কুলে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখায় তারা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন খড়দহ পুরসভার পুরপ্রধান নীলু সরকার। আসে রহড়া থানার পুলিশবাহিনীও।
পুরপ্রধান নীলু সরকার দীর্ঘক্ষণ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে অভিযোগকারী অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। এরপর তিনি জানান, “অভিযোগ জমা পড়েছে স্কুলে। তবে সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করা হবে। যদি কোনও ছাত্রী অপরাধী প্রমাণিত হয় তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে স্কুল থেকে বিতাড়িত করা হতে পারে সেই ছাত্রীকে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.