আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: নিজের ওয়ার্ডে বেআইনি পুকুর ভরাটে মদত দিচ্ছেন খোদ কাউন্সিলরই! পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পরে অবশ্য জামিন পেয়ে যান তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে।
[ভয় দেখিয়ে পরিচারিকাকে লাগাতার ধর্ষণ, কাঠগড়ায় পুলিশ আধিকারিক]
খড়দহ পুর এলাকার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে নতুনপাড়ায় প্রায় চোদ্দো কাটা জমিতে বিশাল একটি পুকুর। ওয়ার্ডের কাউন্সিল শাসকদলের। নাম সঞ্জীব পালচৌধুরি। সূত্রের খবর, পুকুরের মালিক অনিরুদ্ধ দাস নামে এক ব্যক্তি। গত ১৬ জুন খড়দহ পুরসভায় তিনি অভিযোগ করেন, কাউন্সিলর সঞ্জীব পালচৌধুরির মদতে বেআইনিভাবে পুকুর বোজানো হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়ার পর নড়চড়ে বসে পুর কর্তৃপক্ষ। বেআইনি পুকুর ভরাটের অভিযোগে খড়দহ থানায় এফআইআর করেন খড়দহ পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার সুশান্ত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার সকালে বেআইনিভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগে দু’জন ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করে খড়দহ থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, পুকুর ভরাটের সঙ্গে যুক্ত খোদ ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জীব পালচৌধুরি। তাঁকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে অবশ্য অভিযুক্ত কাউন্সিলরের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে বারাকপুর আদালত।
পুর এলাকায় জলাজমি কিংবা পুকুর ভরাট সংক্রান্ত আইন অত্যন্ত কড়া। কাউন্সিলর তো দূর অস্ত, এক্ষেত্রে চেয়ারম্যানেরও কার্যত কোনও ক্ষমতা নেই। পুরো বিষয়টি দেখভাল করে প্রশাসন। কেউ যদি পুকুর ভরাট করতে চায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসারের অনুমতি নিতে হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে জেলাশাসককেও জানাতে হয়। বেআইনি পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠলে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার ক্ষমতা নিতে পারে পুর-প্রশাসন। ঠিক যেমনটা ঘটল খড়দহে। রেহাই পেলেন না কাউন্সিলরও।
[পঞ্চায়েতে কাজের নিরিখে দেশের সেরা বীরভূম জেলা পরিষদ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.