সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাইম টেবিল মানলে এতদিন আন্দামানের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ার কথা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর। কিন্তু এখনও সে অধরা। আলিপুর হাওয়া অফিসের কর্তারাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বর্ষার খোঁজ না মিললেও ঘূর্ণাবর্তের কাঁধেই ভর দিয়ে দক্ষিণবঙ্গ ভিজছে বৃষ্টিতে। তাতে ক্ষণিকের স্বস্তি মিললেও অস্বস্তি কিন্তু পুরোপুরি কাটছে না। তবে গত ক’দিনে যা দুর্ভোগ গিয়েছে, সেটা মাথায় রাখলে এটুকুই বা কম কী! “মাঝেমধ্যে এই দু’-এক পশলা বৃষ্টিই তো পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনা”-বলছেন অনেকে। আজ বৃহস্পতিবারও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
“দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দক্ষিণবঙ্গে না ঢোকা পর্যন্ত এমন বৃষ্টি মাঝেমাঝে হবে। যদিও ঘেমো গরমের হাত থেকে সেভাবে রেহাই মিলবে না”-এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হাওয়া অফিসের এক আবহাওয়াবিদ। তবে যাই হোক, গত দু’একদিনের বৃষ্টির পর গত কয়েকদিনের জ্বালা জুড়িয়েছে। তাপমাত্রাও এক ধাক্কায় নেমেছে কয়েক ডিগ্রি। বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি নেমে পৌঁছায় ৩২.৫ ডিগ্রিতে।
বিহারের উপর অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম প্রান্তে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের উপ মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জোড়া ঘূর্ণাবর্তই মহানগরের পরিমণ্ডলে দিনরাত ঢুকিয়ে যাচ্ছে জলীয় বাষ্প। যার জেরে এদিন সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ পৌঁছায় ৭১ শতাংশে৷ এমনিতেই, প্রাক বর্ষার আগে চলতি মরশুমে বেশ ভালই বৃষ্টি হয়েছে বাংলায়৷ হাওয়া অফিস বলছে, রাজ্যের বেশি কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি৷ এবছর ফসলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে৷ জেলায় জেলায় শিলা বৃষ্টির জেরে ধান ও আমের ফলনেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.