রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: পেশায় পুলিশকর্মী। কৌতূহলবশত নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। আর তাতেই বাজিমাত। প্রথম দিনই লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি কলকাতা পুলিশের এক কর্মী। নদিয়া তেহট্ট থানার তরণীপুরের বাসিন্দা ওই পুলিশ কর্মীর পরিবারে খুশির হাওয়া।
নদিয়ার তেহট্ট থানার তরনীপুরের শলুয়ার বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। পেশায় কলকাতা পুলিশের কর্মী। ছুটিতে দিনকয়েক আগে বাড়িতে এসেছিলেন। বুধবার সকালে ব্যক্তিগত কাজে তরণীপুর বাজারে গিয়েছিলেন। দেখেন নাগাল্যান্ড ডিয়ার লটারি বিক্রি করছেন স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মণ্ডল। কৌতূহলের বশে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে ১৫০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কাটেন। টিকিট কিনে বাড়ি চলে যান।
বিকেলে অজানা একটি নম্বর থেকে টিকিট বিক্রেতার কাছে ফোন আসে। ফোনে জানানো হয় ওই পুলিশকর্মী এক কোটি টাকা জিতেছেন। এই কথা ফোনে শুনতে পেয়ে হতবাক পুলিশ কর্মী। সঙ্গে সঙ্গে তিনি লটারির টিকিট হাতে তেহট্ট থানায় যান। মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, “আমি আগে কখনও লটারির টিকিট কাটিনি। বাজারে গিয়ে ভাগ্যপরীক্ষা করার ইচ্ছা হয়। তাই আবদুলের কাছ থেকে টিকিট কাটি। পরে জানতে পারি ওই টিকিটে এক কোটি টাকা জিতেছি। আমি নিজে এখনও এটা ভাবতে পারছি না।” তেহট্টের টিকিট ডিলার সম্রাট হালদার বলেন, “মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস টিকিটে এক কোটি টাকা পেলেন। উনি যেমন আনন্দিত তেমনই এলাকায় ব্যবসাটা ঠিক হবে। বিশ্বাস বাড়বে সাধারণ মানুষের।”
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরে লটারি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী টুইটে দাবি করেন, লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এই অভিযোগের মাঝে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে লটারি জিতে কোটিপতি হওয়ার রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। লটারি নিয়ে তদন্তে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই। তার মাঝে ফের লটারি জিতে কোটিপতি হওয়ার খবর সামনে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.