সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। প্রমাণ মেলেনি ধর্ষণেরও। কৃষ্ণনগরের ছাত্রীর ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে রিপোর্ট বলছে, শ্বাসনালীতে মিলেছে কার্বন। আগুন লাগার সময় জীবিত ছিল ছাত্রী।
কৃষ্ণনগর কাণ্ড নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। কীভাবে মৃত্যু হল ছাত্রীর? ধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুন? নাকি আত্মহত্যা? তা নিয়ে দানা বেঁধেছিল রহস্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিলেন তদন্তকারীরা। রিপোর্ট বলছে, ছাত্রীর শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। প্রমাণ পাওয়া যায়নি ধর্ষণেরও। তবে আগুন লাগার সময় জীবিত ছিল সে। পুড়ে গিয়েছিল শরীরের ৯০ শতাংশ। তবে সেই আগুন নিজে লাগিয়েছে, নাকি অন্য কেউ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী পরীক্ষার পর বিষয়টা স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার, ১৬ অক্টোবর সকালে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পরিচয় জানা যায়। অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন এবং খুনের পর প্রমাণ লোপাটে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ছাত্রীর প্রেমিক রাহুল বসুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। যদিও পুলিশে আস্থা নেই বলেই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনায় নিহতের পরিজনেরা। এই পরিস্থিতিতে হাতে এল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। যা বলছে, ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.