গ্রাফিক্স: সোমোশ্রী দাস
সঞ্জিত ঘোষ, কৃষ্ণনগর: মধ্যরাতে রাজ্য সড়কে স্বামীর সামনেই মহিলাকে হেনস্তা। প্রতিবাদ করায় স্বামীর চোখের সামনে হেডলাইট নিভিয়ে স্ত্রীকে পিষল গাড়ি। ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী নদিয়ার কৃষ্ণনগর। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার স্বামী। ঘাতক গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সুজন বিশ্বাস নদিয়ার তাহেরপুর থানার শ্যামনগর কামগাছি এলাকার বাসিন্দা। পেশায় ব্যবসায়ী। রবিবার রাতে দোকান বন্ধ করে স্বামীর সঙ্গে ফিরছিলেন তন্দ্রা বিশ্বাস। কুয়াশার কারণে তাঁর চশমার কাচ ঘোলা হয়ে যায়। খামার শিমুলিয়া এলাকায় স্বামীর বাইকে বসেই চশমা পরিষ্কার করছিলেন। আচমকা চশমা হাত ফসকে মাটিতে পড়ে যায়। সেই সময় রাস্তায় একটি ইঞ্জিনভ্যান চলে আসে। বাইক দাঁড়িয়ে থাকায় যাতায়াতে সমস্যা হয়। তাতেই বেজায় বিরক্ত হয় ইঞ্জিনভ্যান চালক। অভিযোগ, দম্পতির সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। বচসার মাঝে ইঞ্জিনভ্যান চালক ছোট একটি গাড়িচালককে ডেকে পাঠায়। কিছুক্ষণের মধ্যে সে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিযোগ, কিছু বোঝার আগেই গাড়িচালক সুজনবাবুকে মারধর করতে শুরু করেন। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী-ও।
তন্দ্রাদেবীও ফোন করে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে চালক ছোট গাড়িটি নিয়ে চলে যায়। অভিযোগ, কিছুক্ষণ পর হেডলাইট নিভিয়ে ছোট গাড়ির চালক ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিছু বুঝে ওঠার আগে মহিলাকে পিষে দিয়ে ঘটনাস্থল ছাড়ে গাড়িচালক। ওই মহিলাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বামী সুজন বিশ্বাসের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে তাঁর স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে। তাহেরপুর থানায় গাড়িচালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি আরও কোনও রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.