সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে দিঘায় খুলে গেল জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রূপ পেল সৈকত শহর দিঘা। এর মাঝেই ‘কুৎসা’ ছড়াতে শুরু করে সিপিএম। প্রচার করা হয়, দিঘায় দু’দিন আমিষ খাওয়া নিষেধ! মুসলিমদের বাইরে রেরনোর ক্ষেত্রেও নাকি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের দিন সেই ভুয়ো প্রচারের মোক্ষম জবাব দিলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সোশাল মিডিয়ায় মাছ-ভাতের পোস্ট করে কুণাল লেখেন, ‘সিপিএম ও গণশক্তির জন্য। বুধবার, এখন দিঘাতে লাঞ্চ। পমফ্রেট মাছ-সহ।’
ঘটনার সূত্রপাত সিপিএমের প্রচার নিয়ে। মন্দির উদ্বোধনের আগে বামেদের তরফে ‘মিথ্যা’ প্রচার করে বলা হতে থাকে দিঘায় নাকি, মুসলিমদের রাস্তায় বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তারা আরও বলতে থাকে নিরামিষ খেতে বাধ্য করা হচ্ছে। যা নিয়ে তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট জবাব দিয়ে বলা হয়, দিঘাতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
সিপিএম ও গণশক্তির জন্য:
বুধবার, এখন দিঘাতে লাঞ্চ। পমফ্রেট মাছসহ।আপনাদের কুৎসা: এখানে আমিষ বন্ধ ও মুসলমানদের বেরনো নিষিদ্ধ, মানুষ হাসছেন।
কোনো কোনো সমিতি ও সংস্থা আবেদন করেছেন জগন্নাথদেবের মন্দির উদ্বোধন বলে নিরামিষ খান। এটা স্বাভাবিক। অনেকেই নিরামিষ খাচ্ছেন। কিন্তু, যাঁরা আমিষ… pic.twitter.com/O3WWlORCnN
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 30, 2025
সেই সূত্র ধরেই আজ বুধবার কুণাল ঘোষ পোস্ট করে লেখেন, ‘কোনও কোনও সমিতি ও সংস্থা আবেদন করেছেন জগন্নাথদেবের মন্দির উদ্বোধন বলে নিরামিষ খান। এটা স্বাভাবিক। অনেকেই নিরামিষ খাচ্ছেন। কিন্তু যাঁরা আমিষ খেতে চাইছেন, তাঁদের জন্য কোনও বাধা নেই। কেউ কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না।’ মুসলিমদের বাইরে বেরতে না দেওয়ার কুৎসার জবাব দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘আর হ্যাঁ, হিন্দু, মুসলমান, খৃস্টান-সহ দিঘা পর্যটনে, রাস্তায়, সাগরতটে সবাই রয়েছেন। খেজুরির যুবনেতা জালালের সঙ্গে আমিই রাতে রাস্তায় আড্ডা মারলাম। চা খেলাম। আরও পরিচিত মুসলমান রয়েছেন। কারা বলছে দিঘায় মুসলমানদের বেরনো বারণ? সিপিএম এখন হতাশার বিষ ছড়াতে মরিয়া।’
এরপর কুণাল আরও একটি পোস্ট করেছেন সেখানে লেখেন, ‘আমি হিন্দু। আমি সেকুলারিজমে বিশ্বাসী। আমি ঈশ্বর মানি, বিশ্বাস করি সর্বশক্তিমানকে, সাধনা ও পরিশ্রমের পাশে থাকেন তিনি। আমি পুজোয় থাকি। অন্য ধর্মের আচার ও উৎসবকে সম্মান করি। আমি খাদ্যরসিক। আমি আমিষ ভালোবাসি। এবং বাংলায় এই গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাটা আছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.