সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টির বিরাম নেই উত্তরবঙ্গে। দিন কয়েক আগে থেকেই ধসের কারণে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গা। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা। গতকাল ধসের জেরে সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। সেই বিপর্যয় কাটার আগেই নতুন করে ধস নামল গরুমাথান-লামচিগোলা রোডে। এর ফলে শিলিগুড়ির সঙ্গে আরও অনেক এলাকার যোগাযাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর উপর ক্রমাগত বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা ও অন্যান্য নদী। কয়েকটি জায়গায় জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ব্যহত এশিয়ান হাইওয়েজের কাজও।
প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল মুষলধারে বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে। আর এই বৃষ্টির কারণেই বিভিন্ন এলাকায় ধস নামছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির কারণে ১০ ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। এই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরেই বাংলা-সিকিমের মধ্যে যাতায়াত চলে। ধস নামার ফলে দু’দিকেই এখন আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। যাঁরা সিকিমে গিয়েছেন, তাঁদের এখনই ফেরার কোনও পথ নেই। একইভাবে সিকিম যাওয়ার জন্যও দ্বার রুদ্ধ পর্যটকদের। পাশাপাশি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কেও নেমেছে ধস। সেবক কালিবাড়ির কাছে একাধিক জায়গায় ধস নামার ফলে কালিম্পংয়ের সঙ্গেও শিলিগুড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হযে পড়ে। ডুয়ার্সের পর্যটকরাও সমস্যায় পড়েন। আজ, শুক্রবারও পরিস্থিতি খুব একটা স্বাভাবিক নয়। তা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে আজ থেকে ডুয়ার্সে চালু হয়েছে ট্রেন।
[ আরও পড়ুন: পরিচারিকার সঙ্গে পরকীয়া, আপত্তিকর অবস্থায় পাকড়াও তৃণমূল নেতা ]
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ১০ ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়। তবে বিকেলের আগে এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু শুক্রবার সকালেও রাস্তা সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তার উপর গরুমাথান-লামচিগোলা রুটে ধস নামায় কালিম্পং-গরুবাথান যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শিলিগুড়ি-কালিম্পং রুটের বিকল্প পথও শুক্রবার বন্ধ। আজ নিয়ে টানা ৪ দিন ধরে বন্ধ উত্তরবঙ্গের টয়ট্রেন পরিষেবা। এছাড়া মালবাজারের লীস নদীর বাঁধ ভেঙে ভেসে গিয়েছে মালবাজার মহকুমার সাউগাও বসতি। ওদলাবাড়ি, জলপাইগুড়ি-সহ একাধিক জেলার বহু গ্রামের উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। স্রোতে ভেঙে গিয়েছে পানীয় জলের কয়েকটি কুয়ো ও কৃষিজমি।
তবে উত্তরবঙ্গ ভাসলেও দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আজ। কিন্তু উপকূল অঞ্চলে জারি হয়েছে সতর্কতা। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে দিঘা থেকে বকখালি পর্যন্ত। ৩ থেকে ৩.৯ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে সমুদ্রের ঢেউ।
[ আরও পড়ুন: মৃত হাতিদের মূর্তি ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের টাকার দাবিতে বিনপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.