সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সম্প্রীতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের সদিয়ালে। রাজনৈতিক রং, জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় বিগত ১৬ বছরের ঐতিহ্যের ধারা আজও অব্যাহত। ‘আমরা সবাই ভাই ভাই’-এর পরিচালনায় ও সদিয়াল জনকল্যাণ সমিতির সহযোগিতায় এবার ১৭ তম বর্ষে পা রাখল সম্প্রীতির ‘কোজাগরী উৎসব’।
লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরে সাতদিন ধরে চলে উৎসব। আনন্দে মাতবে গোটা গ্রামের মানুষ। লক্ষ্মীপ্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জায় প্রতিবছরই কিছু না কিছু চমক থাকে। এবছরও নতুনত্বের ছোঁয়ায় নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখেন এই পুজোকমিটি। লঙ্কা দিয়ে তৈরি হয়েছে লক্ষী প্রতিমা। বিভিন্ন প্রজাতির হাজারখানেকেরও বেশি লঙ্কা লেগেছে দেবীপ্রতিমা তৈরিতে। সময় লেগেছে টানা দুমাস।
শিলিগুড়ির কামাখ্যা শীতলামন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। বিশেষ আকর্ষণ হোগলা দিয়ে নির্মিত ‘লক্ষণের শক্তিশেল’। যা সত্যিই নজরকাড়া। বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁদের পরিবার পরিজনকে সমবেদনা জানাতে তুলে ধরা হয়েছে বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার মর্মান্তিক দৃশ্য। প্রতি বছরই সদিয়ালের লক্ষ্মীপ্রতিমা দেখতে ভিড় করেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। উদ্যোক্তাদের ধারণা, এবার সেসব ভিড় ছাপিয়ে তৈরি হবে নতুন রেকর্ড।
তাই প্রতিমা দর্শনে ব্যবস্থা করা রয়েছে ভিআইপি পাসের গেস্ট কুপনেরও। শুক্রবার উদ্বোধন হল সদিয়াল কোজাগরী উৎসবের। জেলা ও মহকুমা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন মন্ত্রী ও বিধায়করাও। সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবের বিভিন্ন দিন আয়োজন করা হয়েছে যাত্রাপালা, সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠান, বাউল গান ও নৃত্য-সহ বহিরাগত শিল্পীদের বিচিত্রানুষ্ঠানের। শারদোৎসব কাটতে না কাটতেই সদিয়ালের গ্রামবাসীরা মেতে উঠেছেন আর এক উৎসবে, যা ইতিমধ্যেই এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে জেলাজুড়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.