রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: ডুয়ার্সের চা বাগান থেকে ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে গেল চিতাবাঘ। বুধবার সকালে চা বাগানে মিলল শিশুটির ক্ষতবিক্ষত দেহ। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে গ্যারগানডা চা বাগানে। বনদপ্তরের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। বনকর্মীদের গাড়িতে ভাঙচুরও চালান তাঁরা।
[রহস্যজনকভাবে মারা পড়ছে পাখি থেকে শিয়াল, ফালাকাটায় আতঙ্ক]
মৃত শিশুটির নাম প্রমিতা ওরাওঁ, বয়স তিন বছর। মাদারিহাটের গ্যারগানডা চা বাগানে দুখুয়া লাইনে দাদুর বাড়িতে এসেছিল প্রমিতা। চা বাগানের শ্রমিকরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্রমিক বস্তির একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিল সে। তখন ঘরে ঢুকে পড়ে একটি চিতাবাঘ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গলায় কামড় বসিয়ে শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায় চিতা। ঘটনাটি জানাজানি হতে শোরগোল পড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুজি করে প্রমিতার সন্ধান না পেয়ে খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। রাতে গ্যারগানডা চা বাগানে পৌঁছান জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কর্মীরা। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বনদপ্তরের গাড়িতে ভাঙচুর চালান চা বাগানের শ্রমিকরা। তবে রাতে আর শিশুর খোঁজ মেলেনি। বুধবার সকালে গ্যারগানডা চা বাগানে শিশুটির ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
গত তিনমাসে জলদাপাড়ার জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় চিতাবাঘের হামলায় এক আগেও এক কিশোর ও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ৭১ বছর বয়সের এক বৃদ্ধও। এই গ্য়ারগানডা চা-বাগানের শ্রমিকদের বিরুদ্ধেই মাংসে বিষ মিশিয়ে দুই চিতাবাঘকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল।
[ ‘এমন কাণ্ড অনেক ঘটিয়েছি’, কুকরছানা নিধনকে সমর্থন চিকিৎসকের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.