সম্যক খান, মেদিনীপুর: অধিক রাত পর্যন্ত কাজের নামে অফিসের মধ্যেই বসত মদের আসর! লেগেই থাকত বহিরাগতদের আনাগোনা। বারবার অভিযোগ উঠলেও প্রমাণের অপেক্ষা করছিলেন স্থানীয়রা। বুধরাত রাতে আচমকা বিএআরও-এর দপ্তরে ঢুকতেই মিলল প্রমাণ। অফিসের ভিতর থেকে উদ্ধার হল মদের বোতল, বাহারি খাবার। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএলআরও সাফ জানিয়েছেন, সবকিছু উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাত প্রায় নয়টা নাগাদ বিএলআরও প্রশান্ত বিশ্বাসের অফিসে হানা দেয় স্থানীয়রা। তাদের মধ্যে থাকা শেখ ওবাইদুর রহমান বলেন, “অনেক অনৈতিক কাজ করার অভিযোগ আছে এই বিএলআরও-এর বিরুদ্ধে। খাতায় কলমে হিসেব অনুযায়ী রাতেও অফিস করেন তিনি। কিন্তু বাকি কর্মীরা ছুটির পর বেরিয়ে যেতেই বহিরাগতরা হাজির হয় অফিসে। তারাই এসে দায়িত্ব সামলায়। দীর্ঘক্ষণ চলে মদের আসর।” বুধবার রাতে হইহুল্লোড়ের শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা সটান হাজির হয়ে যান বিএলআরও-এর অফিসে। ঢুকতেই তাঁরা দেখেন মদের আসর বসেছে। পাশে পাতা বিছানাও।
একাধিক মদের বোতলের পাশাপাশি রাখা ছিল নানা খাবারও। এসব দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। খবর যায় কেশপুর থানায়। এরপরই ঘটনাস্থলে যান কেশপুরের বিডিও দীপক ঘোষ এবং কেশপুর থানার পুলিশ। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক শিউলি সাহা বলেছেন, প্রশাসন ঘটনার তদন্ত করুক।
যদিও গোটা বিষয়টি মিথ্যে বলে দাবি অভিযুক্ত বিএলআরও প্রশান্ত বিশ্বাসের। তাঁর কথায়, তিনি সবকিছুই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বলেছেন। এ প্রসঙ্গে জেলা ভূমি রাজস্ব আধিকারিক উত্তম অধিকারী বলেছেন, হামেশাই রাত আটটা-নয়টা পর্যন্ত অফিস করতে হয়। এতে দোষের কিছু নেই। তবে অফিস থেকে যেসব অনভিপ্রেত জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.