সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বিস্ফোরণ কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বেআইনি বাজি কারখানা রোধে আরও তৎপর পুলিশ প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানার পুটখালির খাঁ পাড়ায় উলটপুরাণ। পুলিশের তল্লাশি অভিযান রুখতে আত্মহত্যার হুমকি ব্যবসায়ীদের।
বুধবার দুপুরে বজবজ থানার আইসি শান্তনু বসুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ও RAF পুটখালির বাজিপাড়ায় হানা দেয়। তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বাজি। আর এই খবর চাউর হতেই কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হয় খাঁ পাড়া এলাকায়। পুলিশের সামনেই আত্মহত্যা করার হুমকি দিতে থাকেন তাঁরা। কেন এই এলাকায় বারবার তল্লাশি অভিযান চলছে তা জানতে চাওয়া হয়। স্থানীয় বাজি ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁরা এখানে কোনওপ্রকার নিষিদ্ধ বাজি তৈরি করেন না। তিন মাস ধরে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে বাজি উৎপাদন ও বিক্রি। এই অবস্থায় বারবার পুলিশ যদি তল্লাশি অভিযানের নামে তাদের মজুদ করে রাখা বাজি নিয়ে চলে যায়, সেক্ষেত্রে টাকা ধার করে এই ব্যবসা চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে বলেই দাবি।
যদিও ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের দাবি, এখানে একটি ক্লাস্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। শীঘ্রই যেটি বাস্তবায়িত হবে। ক্লাস্টারের নিয়ম মেনে চলা বাজি ব্যবসায়ী যাঁদের লাইসেন্স রয়েছে তেমন কোনওপ্রকার ব্যবসায়ীর দোকান বা বাড়িতে তল্লাশি অভিযান করা হয়নি। এমনকি পরিবেশবান্ধব আতসবাজি যাঁরা বিক্রি করছেন, তাঁদের দোকানেও তল্লাশি চালায়নি বজবজ থানার পুলিশ। তবে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ বাজির মাত্র ৪২ কেজি পুলিশ নিয়ে আসতে পেরেছে। কারণ, যেভাবে একযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তাতে পুলিশ সম্পূর্ণ বাজি নিয়ে আসতে পারেনি।
এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। বাজি ব্যবসায়ীদের বজবজ থানার পুলিশ জানিয়েছে, আগামী দিনেও এর থেকেও বড় মাপের তল্লাশি অভিযান হতে পারে। তাই এখন থেকেই পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরি এবং ক্লাস্টারের নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেয় পুলিশ। পুটখালির বাজি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ, আতসবাজির সঙ্গে নিষিদ্ধ বাজি যেন গুলিয়ে ফেলা না হয়। সমস্ত নিয়ম মেনেই আতসবাজি পুটখালি এলাকায় তৈরি হয় বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.