ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: মধ্যমগ্রামের কাউন্সিলরের করোনা সংক্রমণের খবর সামনে আসার পর আরও সতর্ক প্রশাসন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়ায় ওই এলাকার প্রত্যেককে আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। বন্ধ এলাকার সমস্ত দোকানপাট।
দিনকয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন মধ্যমগ্রামের এক কাউন্সিলর। এরপর হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই জানা যায় তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। আপাতত হাসপাতালেই ভরতি রয়েছেন তিনি। করোনা সংক্রমণ রুখতে আরও সতর্ক প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তর। কাউন্সিলর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়ায় ওই এলাকার প্রত্যেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে আপাতত সকলকে বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত দোকানপাট। এলাকায় থাকা একটি বাজারকেও অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বারাসতের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের তরফে গার্ডরেল দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রহরারও বন্দোবস্ত করা হয়েছে।”
কীভাবে এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাবেন, তা নিয়ে চিন্তিত অধিকাংশ স্থানীয় বাসিন্দা। তবে সেই আশঙ্কা মেটাতে ইতিমধ্যেই পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। ওই টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেবেন। তাই অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা প্রশাসনের।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন, “কাউন্সিলরের বিদেশ যাত্রার কোনও রেকর্ড নেই। বিদেশ কিংবা ভিন রাজ্য থেকে আসা কারও সংস্পর্শেও আসেননি তিনি। তা সত্ত্বেও ওই কাউন্সিলর কীভাবে করোনা আক্রান্ত হলেন, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। এই ওয়ার্ডটিকে হটস্পট হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। রোগ যাতে কোনওভাবেই ছড়াতে না পারে তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়েছে। আগেই এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। এবার এলাকার প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.