দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কোন্নগর রেল স্টেশন সংলগ্ন একটি জনবহুল এলাকায় চলছে চোলাই মদের ঠেক৷ তার প্রতিবাদ করায় বাড়ি থেকে তুলে এনে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করল বেআইনি মদের কারবারিরা। বেআইনি ওই চোলাই মদের কারবারিদের মারে গুরুতর জখম শিবা জানাকে স্থানীয় মানুষ উদ্ধার করে৷ তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়। উত্তেজিত জনতা ওই চোলাই মদের ঠেকে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। পুলিশের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এলাকার সমস্ত চোলাই মদের ঠেক ভেঙে দিতে হবে৷ শনিবারের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোন্নগর স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের ধারে একটি শপিং মলে যাতায়াতের পথে দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি মদের ঠেক গড়ে উঠেছে। ফলে স্থানীয় মানুষের কাছে ওই এলাকা রীতিমতো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন্নগর পুরসভার কাউন্সিলর তন্ময় দেব জানিয়েছেন, স্থানীয় ছেলেরা শপিং মলের কাছে বন্ধুবান্ধব মিলে অবসর সময়ে আড্ডা মারে। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার স্থানীয় শিবা জানা নামে এক যুবক মদের কারবারিদের অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করেন। আর এই প্রতিবাদের জেরে শনিবার সকালে মদের কারবারিরা শিবাকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে এনে পুরনো রেল কোয়ার্টারের ঘরে ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করে৷ তাঁর হাত, পা, কান ফেটে যায়।
আক্রান্ত প্রতিবাদী শিবা জানিয়েছেন, ওই শপিং মলের কাছে বন্ধুরা মিলে অবসর সময়ে গল্প করেন। তাঁদের এই আড্ডা মারার জন্য চোলাই কারবারিদের ব্যবসা চালাতে অসুবিধা হচ্ছিল। শিবার অভিযোগ, বাপি মাঝি ও বুবাই মাঝি এই চোলাইয়ের ঠেক চালায়। শুক্রবার রাতে তাঁরা ওই চোলাই কারবারিদের অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করায় বচসায় জড়িয়ে পড়ে৷ তখনকার মতো বিষয়টা মিটে যায়৷ এরপর শনিবার সকালে পাঁচ দুষ্কৃতী তাঁকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। সম্প্রতি একটি দুর্ঘটনার পর শিবার ডান পায়ে অস্ত্রোপচার করে স্টিলের প্লেট বসানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও চোলাই কারবারিদের হাত থেকে রেহাই পাননি শিবা। এই ঘটনার পরই এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। উত্তেজিত জনতা চোলাইয়ের ঠেক ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেন। আক্রান্ত শিবা জানা উত্তরপাড়া থানায় চোলাই কারবারি বাপি ও বুবাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.