সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দামোদরের উপর সেতু পার হওয়ার পর থেকেই একটি কামরার চাকায় জোরে শব্দ হচ্ছিল। তারপর কিছুটা গিয়েই তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে একটি কামরা একদিকে অনেকটাই কাত হয়ে যায়। শুক্রবার দুপুরে মশাগ্রাম-বাঁকুড়া রেলশাখার বোকড়া স্টেশনের আগে লাইনচ্যুত হয় লোকাল ট্রেনের কামরাটি। যাত্রীরা বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। মাঝমাঠে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ চালিয়ে ট্রেনটিকে লাইনে তোলা যায়নি। ফলে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। লাইনচ্যুত ট্রেনের যাত্রীরা পায়ে হেঁটে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। তারপর বাস ধরে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
[ দুর্গাপুরে সক্রিয় বালি পাচারচক্র, ইসিএল-এর বালি যাচ্ছে অন্য কারখানায় ]
রেলের আদ্রা ডিভিশনের এক আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী জানান, বাঁকুড়াগামী ট্রেনের একটি কামরা বোকড়া স্টেশন ঢোকার আগে লাইনচ্যুত হয়। কোনও যাত্রী জখম হননি বা কারও প্রাণহানি ঘটেনি। তিনি জানান, রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রেনটিকে লাইনের উপর তোলার কাজ শুরু করেন। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
[ রাজ্যের নিরাপত্তা ছাড়লেন বাবুল, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলাশাসকের ]
ওই ট্রেনের যাত্রী বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের বাসিন্দা সূর্যকান্ত চক্রবর্তী, বাঁকুড়ার বাসিন্দা তন্ময় বিশ্বাসরা জানান, লাইনচ্যুত হওয়ার আগে কামরাটি খুব কাঁপছিল। কামরাটি উলটে যেতে পারে আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তারপর বিকট শব্দ করে কাত হয়ে কামরাটি লাইন থেকে নেমে যায়। যদিও চালক বুঝতে পেরে ট্রেন থামিয়ে দেন বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। এরপরই যাত্রী হুড়মুড় করে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। যাত্রীরা জানান, গার্ড তাঁদের জানিয়ে দেন ট্রেন কখন লাইনে তোলা যাবে ঠিক নেই। সবাই যেন বিকল্প ব্যবস্থা করে নেন। এরপর ট্রেনের যাত্রীরা অপেক্ষা না করে পায়ে হেঁটে বোকড়া বাসস্ট্যান্ডে চলে যান। সেখান থেকে বাস ধরে নিজের নিজের গন্তব্যে রওনা হয়ে যান।
পরে রেলের কর্মী ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রেনের কামরাটিকে লাইনে তোলার কাজ শুরু করেন। তবে, কামরা লাইনচ্যুত হওয়ার ফলে এদিন দুপুরের পর থেকে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।
ছবি: মুকুলেসুর রহমান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.