ফাইল ছবি
ধীমান রায়, কাটোয়া: দলীয় পতাকা টাঙাতে গিয়ে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে আক্রান্ত এক বিজেপি নেতা। ওই বিজেপি নেতা স্থানীয় এক বধূর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন বলেও অভিযোগ। ভোট আবহে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাতারে তীব্র চাপানউতোর।
আক্রান্ত নেতা সৌমেন কার্ফা বিজেপির যুবমোর্চার বর্ধমান বিভাগের কনভেনর। তাঁর বাড়ি ভাতারের বেলেণ্ডা গ্রামে। বর্তমানে তিনি বর্ধমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সৌমেন কার্ফার উপর হামলার ঘটনায় অভিযোগকারী গৌরব রায় বিজেপির যুব সংগঠনের ভাতার বিধানসভা এলাকার কনভেনর। গৌরব রায় পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, শনিবার রাত আটটা নাগাদ সৌমেন কার্ফার নিজস্ব চারচাকা গাড়িতে চড়ে তারা বালসিডাঙ্গা গ্রামে বিজেপির দলীয় পতাকা টাঙাতে গিয়েছিলেন। তখনই তাদের উপর চড়াও হয় বালসিডাঙ্গা গ্রামের কয়েকজন।
গৌরব রায়ের অভিযোগ, “বালসিডাঙ্গা গ্রামে আমি, সৌমেন কার্ফা-সহ কয়েকজন পতাকা টাঙাতে গিয়েছিলাম। গ্রামে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ওই গ্রামের প্রায় আট দশজন এবং তাদের সঙ্গে এক মহিলা আমাদের ঘিরে ধরে। মারধর শুরু করে। আমি কোনওরকমে ছিটকে পালিয়ে আসি। ওরা সৌমেনদাকে বেধড়ক মারধর করে।” গৌরব রায় জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পর রাতেই পুলিশকে জানানো হয় । পুলিশ জখম সৌমেন কার্ফাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ভাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই বর্ধমানে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগপত্রে গৌরব রায়ের দাবি,” আমার কাছে নগদ ১৫০০ টাকা, সৌমেন কার্ফার কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা , দুটি মোবাইল ফোন এবং চারটি সোনার আংটি হামলাকারীরা ছিনিয়ে নেয়।” এই ঘটনার পিছনে পুরানো শত্রুতা রয়েছে বলে পুলিশের কাছে সন্দেহপ্রকাশ করেছেন গৌরববাবু।
শনিবার রাতে যখন সৌমেন কার্ফাকে দলের লোকজন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান তখনই বালসিডাঙ্গা গ্রামের এক গৃহবধূ ভাতার থানায় সৌমেন কার্ফার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। বধূর অভিযোগ শনিবার রাতে তাদের বাড়ির কাছে বিজেপির ফেস্টুন লাগাচ্ছিলেন সৌমেন কার্ফা সহ কয়েকজন। তখন তিনি আপত্তি করায় সৌমেন কার্ফা গালিগালাজ ও হুমকি দিতে থাকে। প্রতিবাদ করায় মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। যদিও সৌমেন কার্ফার দাবি হামলাকারীরা নিজেদের বাঁচাতে মিথ্যাভাবে ওই মহিলাকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.