জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিধায়ক হিসেবে শেষ সভা করলেন বাগদার বিধায়ক তথা লোকসভা ভোটে বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। শুক্রবার দুপুরে তিনি বাগদার হেলেঞ্চার নেতাজি শতবার্ষিকী কমিউনিটি হলে তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। বিধায়ক হিসেবে এটাই তাঁর শেষ সভা ছিল। আর এখানেই দলীয় কর্মীদের সামনে আবেগে কেঁদে (Crying) ফেললেন বিশ্বজিৎ দাস। তৃণমূলের তরফে তাঁকে এবারের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রার্থী করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন| তাই শেষ সভায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বিশ্বজিৎবাবু।
শুক্রবার হেলেঞ্চার সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে কেঁদে ফেলেন বিশ্বজিৎ দাস। বলেন, ”বাগদার (Bagda) মানুষ যে সম্মান, যে ভালোবাসা আমাকে দিয়েছে তা কোনওদিন ভুলব না|” তাঁর কথায়, ”অর্থের পিছনে দৌড়লে কখনও সম্মান পাওয়া যায় না| আমি সম্মানের পিছনে দৌড়েছিলাম| তাই সম্মান এবং অর্থ দুইই পেয়েছি| সম্মান আমাকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
২০২১ সালে বিজেপির (BJP) প্রতীকে বাগদা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিশ্বজিৎ| ভোটে জিতে বিধায়কও হন| পরবর্তী সময়ে তৃণমূলে যোগদান করেন এবং বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দায়িত্ব তাঁকে দেয় তৃণমূল| কিন্তু বিধায়কের পদ থেকে এতদিন তিনি ইস্তফা দেননি| এর ফলে খাতায়-কলমে বিজেপির বিধায়ক ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস| তাই নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের কাছে তাঁকে কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি| এদিন বাগদার উন্নয়নে তিনি কী কী করেছেন, সেই পরিসংখ্যানও মানুষের সামনে তুলে ধরেন।
বৈঠক শেষে হেলেঞ্চা বাজারে বিধায়ক হিসেবে শেষ মিছিল করেন বিশ্বজিৎবাবু| পথচলতি মানুষ, দোকানদার সকলের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন| হেলেঞ্চা বাজারে থাকা হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদানও করেন তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী। বিশ্বজিৎ দাসের কথায়, ”বিধায়ক হিসেবে আজ ছিল আমার শেষ বৈঠক| সে কারণে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলাম| মানুষের ভালোবাসায় চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি| আগামী দিনে বাগদার মানুষ সুযোগ দিলে একইভাবে উন্নয়ন করার চেষ্টা করব|”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.