প্রতীকী ছবি।
রাজা দাস, বালুরঘাট: গণতন্ত্রের উৎসবের হাজার রং মশাল। হু হু করে বয়ে চলে দেশের হাওয়া। পত পত করে ওড়ে পতাকা। আসে প্রত্যেক এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার আনার বার্তা। শুরু হয় নেতাদের ঘন ঘন চোঙ ফোকা। শব্দ ছাড়া এই সবের প্রায় কোনও কিছুই পৌঁছয় না হিলির ব্লকের অন্তর্গত কাঁটাতারের ওপারে থাকা শ্রীকৃষ্ণপুরে। এখানকার বাসিন্দারা দেশের নাগরিক হয়েও থাকেন কাঁটাতারের ওপারে। আবার কিছু ভোটার বন্দুকের নজরদারি, কড়া চোখের চাহনি, শক্ত চোয়ালের হাজার প্রশ্ন এড়িয়ে ওপারে যান প্রধানমন্ত্রী (Pradhan Mantri) বাছতে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) হিলিতে (Hili) আছে ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত। বুথ রয়েছে ৮৪টি। এর মধ্যে ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩টি বুথের মধ্যে একটি বুথ শ্রীকৃষ্ণপুর। এটিই জেলার একমাত্র বুথ যা রয়েছে কাঁটাতারের ওপারে। এখানে ভোটারের সংখ্যা এগারোশোর কাছাকাছি। ওপারের নাগরিকদের পাশাপাশি ওই বুথেই ভোটদান করেন ভারতের মূল ভূখন্ডে থাকা সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষরা। তবে সীমান্ত গেটে বিএসএফের সহযোগিতা নিয়ে বড় প্রশ্ন থেকে যায় প্রতি বার। ওই বুথের ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য এবার আগে থেকেই প্রস্তুত জেলা নির্বাচন দপ্তর। বেশ কয়েক দফায় বৈঠকও হয়েছে সীমান্তরক্ষী (BSF) বাহিনীর সঙ্গে। যে কোনও অপপ্রচার এড়িয়ে ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ওই বুথে ১০০ শতাংশ ভোটদান করানোই এখন মূল লক্ষ্য জেলা প্রশাসনের।
হিলির বিডিও (BDO) তথা ব্লক রিটার্নিং অফিসার চিরঞ্জিৎ সরকার বলেন, “ভোটার তালিকা আপডেট হচ্ছে। হিলির শ্রীকৃষ্ণপুর বুথটি কাঁটাতারের ওপারে। ওই বুথে ভোট দেবেন এপারের কয়েকটি এলাকার নাগরিকরাও। স্বাভাবিকভাবেই বিএসএফ গেটে তাঁদের নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র লাগবে। তবে কোনও ভোটার অহেতুক হয়রানির শিকার না হন সেই দিকে আমাদের নজরে থাকছে। এনিয়ে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন : ‘বিজয়ী ভব’, ভোটের আগে আশীর্বাদ নিতে যাওয়া অর্জুন সিংকে বললেন মুকুল রায়]
বছর কয়েক আগেও এখানে ছিল না কোনও শিক্ষাঙ্গন। ছিল না বিদ্যুৎ সংযোগ। এখন পরিস্থিতির কিছুটা বদল হয়েছে। তৈরি হয়েছে স্কুল।এসেছে বিদ্যুৎ। তবে ওঁরা রাষ্ট্রনেতা বাছেন কাঁটাতারের ওপার থেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.