ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রার্থী নিয়ে গড়িমসি আর দুর্বল প্রচার। দার্জিলিং আসনে কংগ্রেসের পিছিয়ে পড়ার জন্য যাকে অন্যতম কারণ বলে মনে করছে প্রদেশ নেতৃত্ব। সদ্য কলকাতায় দলের কার্যকরী সমিতির বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সেখানে যেমন জেলার সভাপতি শংকর মালাকার ছিলেন, ছিলেন দলের প্রার্থী মুনিশ তামাংও। তাঁদের দুজনেরই বক্তব্য, প্রার্থী নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে এআইসিসি অনেকটাই দেরি করে ফেলে। তাতেই আর প্রচারে সময় পাওয়া যায়নি। যার ফলেই ভোটে ভরাডুবি।
জেলা সভাপতি শংকর মালাকারের বক্তব্য, তৃণমূল অনেক আগে থেকে প্রচারে নেমেছিল। বিজেপির প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সময় লাগলেও কৌশল স্পষ্ট ছিল। কিন্তু এআইসিসি সব কিছু নিয়েই অনেক সময় নিয়ে ফেলেছে। তাতেই কংগ্রেস অনেকটা পিছিয়ে যায়। কংগ্রেস সিপিএমের সমর্থন নিয়ে দার্জিলিংয়ের ময়দানে নামার অনেক আগে যুযুধান দুইপক্ষ লড়াইয়ে নেমে গিয়েছে। কিন্তু মুনিশ তো শুধু সিপিএমের সমর্থন নয়, অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টিরও সমর্থন পেয়েছিল। শংকরের কথায়, “অজয় নিজেই তেমন জনসমর্থন পায়নি। মাত্র ৬ হাজার ভোট টেনেছে।”
মুনিশও প্রার্থী বা প্রচারে বিলম্বের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। প্রথমে ঠিক ছিল, কংগ্রেসের প্রার্থী হবেন বিনয় তামাং। অজয় প্রথমে তাঁকে সমর্থনের কথা জানান। পরে মুনিশকে নিয়ে নিজে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার একেবারে মুখে কংগ্রেস মুনিশকে প্রার্থী করে। স্বাভাবিকভাবেই পিছিয়ে পড়েন কংগ্রেস প্রার্থী। মনে করা হচ্ছে, বিজেপির জয় সম্ভব হয়েছে একমাত্র গোর্খাল্যান্ড ইসুতে পাহাড়কে সমর্থন দেওয়ায়। তারা পেয়েছে পৌনে সাত লক্ষের কাছে ভোট। তৃণমূল পেয়েছে পাঁচ লক্ষের কিছু বেশি ভোট। সেখানে কংগ্রেসের ভাগ্যে জুটেছে মাত্র ৮৩ হাজার ভোট। গোটা পরিস্থিতি রাজ্যে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক গুলাম মীরের কাছেও তুলে ধরেন মুনিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.